আটকরা হলেন-জাহাঙ্গীর আলম ও মো. জিয়াউর রহমান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ফ্লাইট নং VQ- 932 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চৌকষ দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারপোর্টের ডোমেস্টিক আগমনী এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে। যাত্রী ডোমেস্টিক এলাকা অতিক্রম করার সময় শুল্ক গোয়েন্দা দল তাদেরকে আটক করে।
আটকের পর সুনিশ্চিত তথ্য থাকার পরেও জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইয়াবা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। গোপন তথ্য ও যাত্রীর শারীরিক লক্ষণাদিতে স্পষ্ট হয় ইয়াবা বহনের বিষয়টি। পরবর্তীতে তাদেরকে কাস্টমস আগমনী হলের ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে দেহ তল্লাশি করা হয় এবং এরপর চলে শরীর থেকে ইয়াবা বের করার পালা।
তাদের শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে নিয়ে এসে রুটি কলা ও প্যাকেট জুস খেতে দেয়া হয়। আরো দেয়া হয় লুঙ্গি। লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে ৪০টি ছোট প্যাকেট বের করে আনেন জাহাঙ্গীর আলম। তার রেক্তামে লুকায়িত অবস্থায় ২০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপর যাত্রী জিয়াউর রহমানকে ডাক্তারের উপস্থিতিতে নানা কসরত করিয়ে পেটের অভ্যন্তরে রক্ষিত ইয়াবা বের না হওয়ায় তার লিখিত বিবৃতি অনুযায়ী পেটের অভ্যন্তরে ২০০০ পিস ইয়াবাসহ সকল সংস্থার উপস্থিতিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃত ইয়াবার মোট বাজারমূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
আটককৃত পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইন ১৯৬৯ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।