প্রচলিত পদ্ধতিতে বিদ্যমান ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বড় সম্পদ মানব সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা সমান তালে চলছে।
জ্ঞান ভিত্তিক সাম্য সমাজ বিনির্মাণে বিদ্যমান সম্পদের আর্থিক মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও মেধাসম্পদকে প্রাধান্য প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
ঢাকায় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) মানব সম্পদ হ্যান্ডবুকের প্রকাশনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সঞ্চালনায় জুম কনফারেন্সিংয়ে বেসিসের সাবেক সভাপতি এ তৌহিদ, হাবিবুল্লাহ এন করিম, রফিকুল ইসলাম রাউলি, মাহবুব জামান, শামীম আহসান এবং সাবেক পরিচালক শাহ ইমরুল কায়েস বক্তৃতা করেন।
ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনীয়তা আগামী দিনে ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে বেসিস প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ কেবলমাত্র সফটওয়্যার উৎপাদনই করছে না। আমাদের মেধাবী তরুণদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশে আমরা যা উৎপাদন করতে পারি তা বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, আমরা মোট চাহিদার শতকরা ৫০ ভাগ মোবাইল ফোন উৎপাদন করছি। করোনা পরিস্থি না থাকলে তা শতকরা ৭০ ভাগ উৎপাদন করা সম্ভব হতো। কম্পিউটার উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী তরুণ উদ্ভাবকদেরকে কপিরাইট আইন, পণ্যের প্যাটেন্ট সংরক্ষণ এবং ট্রেডমার্ক বিষয়ে অধিকতর সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।