ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি হচ্ছে ডিজিটাল সংযুক্তি। ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল দক্ষতা এই দুইয়ের মিশেলে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছাতে হবে এবং প্রতিটি মানুষকে ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে হবে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুজ্জামান বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট জনসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের আবশ্যকতা তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের অদক্ষতার কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন যাতে ব্যাহত না হয় পরিকল্পনা প্রণয়নে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্য প্রশাসনিক রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছি তা নয়। শিক্ষা, কৃষি এবং স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে ডিজিটাইজেশন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
কৃষি খাতে আইওটি ব্যবহার এই খাতের অগ্রগতির জন্য অসাধারণ হতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশের বিস্তারিত পথনকশা তৈরিতে এই কর্মশালা ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোস্তাফা জব্বার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে ডিজিটাল সংযুক্তি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের প্রত্যন্ত উপজেলা খালিয়াজুরীতে বসে সাধারণ মানুষ অনলাইনে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসা নিতে পারছে যা অভাবনীয়।
তিনি বলেন, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের ফলে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দেশের ২০০টি উপজেলায় বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করছে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকেও উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামের অসহায় মানুষদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মানসিক শক্তি না থাকলে বইয়ের পেশায় থাকা যায় না: মোস্তফা জব্বার
১ বছর আগে
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড অ্যাপলিকেশন ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
বুধবার(২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের আজ দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিতী দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে আলাপের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি ব্যাখ্যা দেব, সেটি হচ্ছে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) একটি শব্দ ব্যবহার করেছে ‘বাধ্যতামূলক’, শব্দটি বিভ্রান্তিকর।’
আরও পড়ুন: নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আপনি যেকোনো অ্যাপলিকেশন রাখতে পারেন, আন-ইনস্টল করতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই। এটি বাধ্যতামূলক নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদক অথবা আমদারিকারক বাংলা লেখার সুবিধা তৈরি করে দেয়ার জন্য একটি সফওয়্যার দিয়ে দেবেন। ব্যবহারকারী সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করবে কি করবে না, সেটি সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।’
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, ডাকঘরকেও ডিজিটাল করতেই হবে। ডাকের দিন শেষ হয়নি, আরও বাড়ছে।তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা সদরে নির্মানাধীন প্রধান ডাকঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রধান এ ডাক ভবনটি নির্মত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্খিত মানে উন্নীত হবে।
ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি।
আরও পড়ুন: 'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্যকোন প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই।
করোনাকালে কৃষকের ফল, সব্জি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশে-বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি।
ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ, গাজীপুরের এডিসি জেনারেল নাসরিন পারভিন এবং ডাক অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ব্যবসা-বান্ধব করার আহ্বান
টেলিকম খাতের কর ব্যবস্থা ও ইকোসিস্টেম ব্যবসা-বান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছে এই খাতের নীতি-নির্ধারক ও প্রতিনিধিরা। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ খাত সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে এমটব (এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের) ও বিআইজিএফ (বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভরনেন্স ফোরাম) আয়োজিত টেলিকম ট্যাক্স পলিসি ও ইকোসিস্টেম নিয়ে এক পলিসি ডায়লগে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিআইজিএফের চেয়ারপার্সন ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের তরুণরা এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা করছে। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির অনেক সুবিধা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি একমত যে উচ্চ কর দীর্ঘদিন ধরে একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এনবিআর এর কাছে টেলিযোগাযোগ খাতে উচ্চ করের প্রভাবের বিষয়টি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। আমাদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে, যেখানে যৌক্তিক হারে কর নির্ধারণের দিকে নজর দেওয়া দরকার।’
অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে টেলিকম খাতে কর খুব বেশি। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কোষাগারে অনেক অর্থ দিচ্ছে, তাহলে তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে কেন? ট্যাক্স কমানো হলে সরকারের কোন ক্ষতি নেই, কারণ এতে পরোক্ষভাবে সরকারের আয় বাড়ে। মোবাইল খাতে করপোরেট ও ন্যূনতম টার্নওভার কর কমিয়ে অন্যান্য শিল্প খাতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা উচিত।’
পলিসি ডায়ালগে টেলিকম করনীতি ও টেলিকম ইকোসিস্টেম নিয়ে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম এবং এরিকসনের মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার হেড অব নেটওয়ার্ক সল্যুশন এবং এরিকসন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘টেলিকম খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে আমাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি মনে করি, কিছু কর যৌক্তিক করা দরকার। ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে প্রান্তিক গ্রাহকদের সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমি এনবিআরের সাথে আলোচনা করব।’
পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘দেশ বিদেশের সকল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যেন সঠিকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা অনুসরণ করেই তাদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়। টেলিকম খাত শুধু সেবা প্রদানই নয়, দেশের প্রবৃদ্ধিতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তাই তাদের প্রতি আমাদের ইতিবাচক মনোভাব সবসময়ই বজায় থাকবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’
রবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিএফও এম. রিয়াজ রাশিদ বলেন, মার্কেটে যত বেশি প্লেয়ার থাকবে অপারেটরদের কাজের দক্ষতা তত বেশি কমবে। আর শেষ পর্যন্ত এর প্রভাব গিয়ে পড়বে গ্রাহকদের উপর কারণ এতে সেবা প্রদানের ব্যয় বেড়ে যায়। তিনি বিষয়টির উপর নজর দেয়ার জন্য নীতি নির্ধারকদের মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
মূল প্রবন্ধে শাহেদ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের মোবাইল খাতের কর তুলনামূলকভাবে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপারেটরদের বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন সন্তোষজনক নয়। একদিকে অপারেটরদের গ্রাহকপ্রতি গড় আয় কম অন্যদিকে মোবাইল ভয়েস ও মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। আমরা আরও নতুন ধরনের সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করতে চাই। কিন্তু সেবাদাতাদের যদি করের ভারে জর্জরিত করা হয় তাহলে তাদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যায়। আমরা এই খাতে যৌক্তিক হারে করারোপের দাবি জানাই। আমাদের মনে রাখা দরকার যে দেশের ৪৫ শতাংশ লোক নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও এখনও মোবাইল ব্যবহার করতে পারে না।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, ‘সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপকল্প বাস্তবায়নে টেলিকম অপারেটররা প্রধানতম সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। করের ভার এবং অন্যান্য অনেক চ্যালেঞ্জে থাকা সত্ত্বেও আমরা কোটি কোটি গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছি। আমরা সরকারের ভ্যাকসিন এবং বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এখনও অনেক পথ যেতে হবে, কিন্তু আমরা জেনে খুশি যে সরকার লং ডিসট্যান্স টেলিকম নীতি নিয়ে কাজ করছে। আমাদের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি আমাদের আরও উৎকৃষ্ট সেবা দিতে সাহায্য করবে।’
গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং সিসিএও হোসেন সাদাত বলেন, ‘আমরা উচ্চ কর সমস্যা সমাধানের জন্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রতি বছর বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য, আমাদের খুব শিগগিরই টেলিকম খাতের ট্যাক্স ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের অযৌক্তিক করের বৈষম্য দূর করতে হবে। ভালো ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে করের পরিমাণ কম হওয়া উচিৎ। তৃণমূল স্তরে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য, আমাদের কর যৌক্তিকীকরণ করতে হবে।’
পড়ুন: ঈদে ২৩০০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
এ বছরই পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে
চলতি বছরেই পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব তথ্য জানান।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া। সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতারা ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ। আপনারা জেনে খুশি হবেন রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে পঞ্চম প্রজন্মের বা ৫জি সেবা চালু করবে। আর আগামী বছর ২০২২ সালে দেশের অন্যসব মোবাইল অপারটেরদের জন্য ৫জি তরঙ্গ নিলাম করবে সরকার
তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের জাম্প করতে চাই, পৃথিবীতে ৫জি এসেছে, ২০১৮ সালের জুলাইতে ৫জি পরীক্ষামূলক চালু করে দেখেছিলাম। ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করব।
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে জব্বার বলেন, টেলিটক ইতিমধ্যে পাঁচটি সাইট রেডি করেছে। এটি ২০২২ সালে সম্প্রসারণ করব এবং ২০২২ সালে প্রথম কোয়ার্টারে একটি স্পেকট্রাম অকশন করব। আশা করি সব অপারেটরেরা ২০২২ সাল থেকে ৫জি প্রযুক্তি বিকাশ ঘটাতে পারবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে দেশে ৪জি সেবা চালু আছে। নতুন করে ৫জি চালু হলে ইন্টারনেটের গতি কয়েকগুণ বাড়বে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এলাকায় ৫জি প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা জানিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ৫জি কেবলমাত্র সাধারণ প্রযুক্তি না, এটি সব প্রযুক্তির মহাসড়ক। ৪জি নেটওয়ার্ক ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের সাধারণ চাহিদা পূরণ করবে। কল কারখানার জন্য ৫জি প্রযুক্তি দিতে পারি, হাইটেক পার্কে ৫জি প্রযুক্তি দিতে পারি, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক নির্মাণের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।
বর্তমানে ৯৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল নির্ভর। এই মোবাইল নির্ভরতার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ৪জি সম্প্রসারণ, সব অপারেটররা তা করেছে। কিন্তু এখনো কিছু যান্ত্রিক অসুবিধা রয়ে গেছে যার জন্য কলড্রপ বা নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, ইন্টারনেট গতি পাওয়া যায় না এসব মোকাবিলা করতে হয়। এসব সমস্যা সাধানের কাজ করা হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ফেসবুককে দায়ী করেছেন অনেকে এ নিয়ে এক প্রশ্নে জব্বার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো একটি দিক মাত্র, সব কিছুই যখন ডিজিটাল হচ্ছে সেই তথ্য নিরাপত্তা দিতে না পারলে উল্টো বিপদ ডেকে আনবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের আইনের আওতায় যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায়… আমি লক্ষ্য করছি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ আইনের অপব্যবহার হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনেরও অপব্যবহার হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিরাপত্তা হরণ করার জন্য নয়, এটি অপব্যবহার রোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেন, ফেইবুক, ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি, সব নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে তারা নির্দেশ তৈরি করেছে, তারা বাংলাদেশের ইস্যুগুলো উপলব্ধি করে না। বর্তমানে তাদের সাথে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ হয়, কুমিল্লাসহ অন্যান্য ঘটনায় দৃষ্টান্ত দিতে পারি তারা ৩০০ লিঙ্কের মধ্যে ২৬৬টি লিঙ্ক বন্ধ করে দিতে পেরেছে। আমি আশা করি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তারা বিবেচনা করবে। আমাদের যে সক্ষমতা আছে তা হল কোনো সাইট আমরা তাৎক্ষণিক বন্ধ করতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে ফেসবুকের লাইভ বন্ধ করতে পারব। যখন কোনো সমস্যা হবে তখন প্রয়োগ করতে পারব। সহজ উপায় ফেইবুক, ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। যেটা প্রয়োজন মাথা ব্যথা হয়েছে ওষুধ দিয়ে সারাতে হবে, এ জন্য এসব বন্ধ করা হয়নি। দেশে চার কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে, তারা বুঝেছে এখানে ব্যবসা বিশাল এবং তাদের আয় বাড়ছে।
অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ থেকে সরে আসার বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এটি উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করছে, জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। দেশে ২জি সেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশি, তাদের নিবন্ধনের সক্ষমতা নেই। আমরা মাঝে মধ্যেই অবৈধ সেট বিষয়ে অভিযান চালাই, অবৈধ সেট বন্ধের সক্ষমতা আমরা তৈরি করেছি।
আরও পড়ুন: মার্চের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা পাবে: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে সবার জন্য সুলভ ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশে সবার জন্য সুলভ ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
৪ বছর আগে
সংবিধান দিবস উপলক্ষে স্যুভেনির সিট অবমুক্ত
আজ (বুধবার) ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
৪ বছর আগে
অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনী একটি মাইলফলক: জব্বার
অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনীকে মাইলফলকে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করে নতুন একটি মাইলফলক তৈরি করলো।’
৪ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের জন্য এখন ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট অপরিহার্য: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপরিহার্য।
৪ বছর আগে
ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের সক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণের সক্ষমতায় পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
৪ বছর আগে