ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সারা দুনিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার বাহন হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার বদৌলতে সভ্যতার বিবর্তন হয়েছে। এখন শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
শনিবার ঢাকায় ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠার ২৩৩ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সভ্যতা বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ডিজিটাল শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারে সুযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: একদিন ব্যবসা মানেই হবে ‘ডিজিটাল ব্যবসা’: মোস্তাফা জব্বার
বর্তমান বাংলাদেশে উন্নতির কথা তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আজকের ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার জাদুটি হচ্ছে ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাইজেসনসহ সকল ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, অধ্যাপক যতীন সরকার ,বৃহত্তর ময়মনসিংহ কর্মজীবী সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আবদুল মান্নান, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক আবদুস সামাদ এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ প্রমূখ বক্তব্য দেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের ১ মে ময়মনসিংহ জেলা সৃষ্টি হয়। এই জেলার আকার সময় সময় পরিবর্তীত হয়েছে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা থেকে টাঙ্গাইল মহকুমাকে এবং ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে জামালপুর মহুকুমাকে পৃথক করে জেলায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমাকে পৃথক পৃথক জেলায় উন্নীত করা হয়।