চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান সময়ে ‘ই-লার্নিং’ অত্যন্ত কার্যকর এবং সামনের দিনগুলোতে এটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে প্রণয়ন করা শিক্ষানীতিকে যুগোপোযোগীকরণ এবং সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষানীতিতে ই-লার্নিংকে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-লার্নিং’ শীর্ষক ওয়েবিনারে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষ অত্যন্ত প্রযুক্তিবান্ধব, যার কারণে শিক্ষাকার্যক্রমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে না।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখবে।
কোভিড মহামারি মোকাবিলায় এদেশের মানুষ সাহসিকতার পরিচয় দিবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে কি ধরনের দক্ষ লোকবল প্রয়োজন হবে, তার একটি প্রাক নির্বাচনের মাধ্যমে সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম, অবকাঠামো এবং শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে।
অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা আরও সম্প্রসারণে মানসিকতা একটি বড় বাধা বলে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি হারে গবেষণা পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কারম্যান জেড লামাংনা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মুরাদ হোসেন মোল্লা প্রমুখ এ ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত হন। ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ এবং ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ‘ইউনির্ভাসিটি অব সারে’-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ওসামা খান।