তিনি বলেন, ‘চলামন পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিল সেগুলোও বন্ধের পথে আছে। যেহেতু শীতকাল নিয়ে এক ধরনের দুশ্চিন্তা আছে সব জায়গায়, সে কারণে আমরা কোভিড বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে আলোচনা করব। আমরা যখন মনে করব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারব। তবে সেটি কবে হবে তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’
মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও হচ্ছে না: মন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে হবে কি না সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার প্রচেষ্টা ছিল আমাদের। আমরা মনে করি, এ বছর যে বাস্তবতা তাতে এ সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতিই সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দেশব্যাপী সমন্বিত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। প্রতি জেলায় জেলায় যদি পরীক্ষা হয় তাহলে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকরাই নানাভাবে উপস্থিত থেকে এটার মান নিশ্চিত করতে পারেন।’
‘আমাদের ধারণা এটি করা সম্ভব। গত বছর সমন্বিত পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনায় কয়েকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আপত্তির কথা জানালেও বাকিরা কিন্তু আপত্তি জানাননি। মেডিকেল কলেজগুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়, এবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব। এটি নিয়েও আমাদের আলোচনা চলছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।