শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রস্তুতি: বিনিয়োগ ও দক্ষতা’ বিষয়ক ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে। ’
তিনি জানান, ইতোমধ্যে সরকারি পলিটেকনিক্যাল সমূহে ভর্তি হওয়ার জন্য বিদ্যমান বয়সের যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা তুলে দেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে নতুন গ্রাজুয়েট এবং বিদেশফেরত কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বেসরকারি খাত বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমন্বয় আরও বাড়ানো প্রয়োজন, যার মাধ্যমে শিল্পখাতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাকার্যক্রম চালু এবং দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে পরিচালিত কলেজসমূহে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে, কিন্তু আমাদের শিল্পখাত তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না, এক্ষেত্রে নতুন গ্রাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশফেরত আসা কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা প্রয়োজন,’ যোগ করেন তিনি।
মহিবুল হাসান জানান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আমাদের শ্রমিকের দক্ষতার অভাব পূরণে ‘স্কিল ম্যাপিং’ নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকার দেশের বেসরকারি খাতের সাথে একযোগে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী।
তিনি দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া গ্রাজুয়েটদের শিল্পখাত ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারাবিশ্বেই অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ২০ শতাংশ আসে শিল্পখাত থেকে, তবে পর্যাপ্ত শ্রমশক্তি থাকা সত্ত্বেও আমাদের দক্ষ শ্রমিকের যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কোভিড-১৯ মহামারির সংকট উত্তরণ ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে শিক্ষা কারিকুলামের সংস্কার ও শিল্প খাতে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগানো, বিদেশি বিনিয়োগ স্থানান্তরের সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য স্থানীয় অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে প্রয়েজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালুকরণ, প্রবাস থেকে ফেরত আসা কর্মী এবং স্থানীয় শিল্প খাত থেকে কর্ম হারানো শ্রমিকদের শিল্পখাতে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সহযোগিতা প্রদান এবং প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ প্রদান নিশ্চিত করার দাবি জানান।