থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংকক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এটিই হবে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকার প্রধানের প্রথম সফর।
এই সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, এটি বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
সফরকালে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের চিকিৎসা ও শিক্ষা অনুদান ফোসার
তিনি আরও বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ থাভিসিন এবং তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
একই দিনে গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপে ভাষণ দেবেন তিনি। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা, মন্ত্রী ও অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করা হবে।
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেবে। এখানে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে যা এরই মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবস্থান অনন্য।
এরই মধ্যে, এই অঞ্চল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ফিন্যান্স, গভটেক ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তির মাধ্যম ডিজিটালি চালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য, এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।