জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে শত পুরস্কার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটি।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে শনিবার বিকালে শত শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
চার ধাপে একশ শিশুদের মাঝে ক শাখার জন্য একটি করে কমিক বুক, গ্লোব, বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ক্রিস্টাল, তিন প্যাকেট রং, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেট, টপসহ গাছ ও প্রথম স্থান অর্জনকারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাবে ‘বঙ্গবন্ধু’!
এ ছাড়া খ-গ-ঘ শাখার শিশুদের প্রতিটি প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, একাত্তরের সহযোদ্ধা, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়া চীন, শত বর্ষে বঙ্গবন্ধুর বই যুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আজ এই শিশুরা ছবি একেঁছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সব সময় শিশুদের ভালোবাসতেন, আজকের শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করেই আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে, এটাই আশা করি।’
আরও পড়ুন: প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘সমাজ থেকে সাংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। এই বাংলায় হাজার বছরের সংস্কৃতি ছিল ভাটিয়ালি, জারি-সারি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। যাত্রাপালা হারিয়ে গেছে, নাটকও হারানোর পথে। সঙ্গীত চর্চা এটাও আবার ধর্মে কোন ক্ষতি হয় কিনা এর জন্য চিন্তায় পড়ে অনেক বাবা-মা নিরুৎসাহিত করেন।’
আওয়ামী লীগ বাঙালি ও বাংলাদেশের এগিয়ে নিতে কাজ করছে জানিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ভাষা, আমাদের গান, চিত্রকলাসহ সংষ্কৃতি এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা অন্য আকার ধারণ করতো। আওয়ামী লীগ তো বাঙালির কথা বলছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমি মুসলমান, আমি বাঙালি। আওয়ামী লীগ সেই আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শিশু হাসপাতালকে ইনস্টিটিউট করতে সংসদে বিল পাস
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা বলেন, ‘রং তুলির আচড়ে যে ছোট্ট শিল্পীরা নানা আঙ্গিকে চিত্রায়িত করেছেন আমাদের জাতির পিতাকে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের জাতির পিতা শিল্প কাব্য গানে চিত্রকলায় চিত্রিত হয়ে এভাবেই বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।’
বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ।