বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসী ও তাদের সংগঠনগুলোর অর্থায়ন চিহ্নিত করে সেসব বন্ধের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সন্ত্রাসীদের কাছে অর্থায়ন আসা ঠেকাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার ওপরও গুরুত্বরোপ করেন মার্কিন দূত।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এমন আইনগত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে, যা আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা করবে এবং নাগরিকদের কাছে শ্রদ্ধার স্থান পাবে।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ঠেকাতে শুধু কঠোর আইনই যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে মিলার বলেন, আইনগুলো দক্ষ তদন্তকারী, প্রসিকিউটর ও বিশ্লেষকদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতে হবে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাস্টিস’স ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) লস অ্যাঞ্জেলস ও মিয়ামি ডিভিশনস যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মাদ রাজি হাসান বক্তব্য রাখেন।
আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার জানান, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ২০০৫ সাল থেকে প্রসিকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্টের জাস্টিস অফিস, অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড ট্রেইনিং (ওপিডিএটি) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (যুক্তরাষ্ট্রের) সাথে বাংলাদেশি সহকর্মীদের সাথে অংশীদার হয়েছে।
এ ধরনের যৌথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিকভাবে প্রসিকিউটর, তদন্তকারী এবং নিয়ন্ত্রকরা একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে (অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ঠেকাতে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।