আগামী ২১ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ চলবে জানিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ সময়ে পুলিশ প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস)’ ডাটাবেসের জন্য তথ্য সংগ্রহ করবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। ইতোমধ্যে ২২ লাখ পরিবারের ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস-এ সংরক্ষিত আছে।
`সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও অপরাধের হুমকি থেকে রক্ষার জন্য ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহের’মাধ্যমে আমরা আবার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি,’ যোগ করেন ডিএমডি কমিশনার।
সিআইএমএস ডাটাবেসের প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ২০১৬ সালের গুলশান হামলার পর রাজধানীতে আর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
`ডিএমপি’র সিআইএমএস ডাটাবেস সিস্টেমের কারণে তারা (জঙ্গিরা) রাজধানীতে লুকিয়ে থাকতে ভয় পায়’ উল্লেখ করে মহানগর পুলিশ প্রধান বলেন, অপরাধ দমনে এটি অনেক সহায়তা করছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো নাগরিক যেন সিআইএমএস ডাটাবেস থেকে বাদ না পড়ে এ জন্য তথ্য সংগ্রহ সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।
তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শেষে ডিএমপি সদরদপ্তরের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর যেকোনো বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিবেন, যাতে সিআইএমএস ডাটাবেসে সবার তথ্য নিশ্চিত হয়, যোগ করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, তথ্য সংগ্রহ শেষে হলে শুধু সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নয়, হত্যা ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলোও রাজধানীতে বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ডিএমপি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন) কৃষ্ণপদ রায় সিআইএমএস ডাটাবেসের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা করেন।
জঙ্গিাবাদ দমনে এ ডাটাবেস সহায়তা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সিআইএমএস সফটওয়ারে ২৪১৫০৭ জন বাড়ীওয়ালা, ১৮২০০৯৪ জন ভাড়াটিয়া, ১২১০৪০ জন মেস সদস্যের তথ্য সংরক্ষিত আছে।