প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা (পরিবেশ) নিশ্চিত করেছি বলেই দেশের জনগণ তাদের মনোনিত প্রার্থীকে মুক্তভাবে ভোট দিতে পারছে।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে রাজশাহী ও সিলেটে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটা এলাকার জনগণ ভোট দেয়ার অধিকার অর্জন করেছে এবং ভোট দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারছে এটাই আজ প্রমাণিত।
গণতন্ত্র মানেই জনগণের ভোটের অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই অধিকারের প্রতি আমরা সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত। আমরা চাই জনগণের অধিকার জনগণের হাতেই থাকবে।
কোনো নির্বাচনে ছোট খাটো কোনো ঘটনা ঘটলে সরকার পদক্ষেপ নেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণ তার মৌলিক অধিকার ভোগ করুক এবং ভোটদানের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বচন করুক।
নব-নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ করে হাসিনা বলেন, আপনারা যে দল থেকেই নির্বাচিত হোন না কেন, আপনার এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য যথাযথভাবে কাজ করে যেতে হবে। কারণ এটা আপনার কর্তব্য।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল চৌধুরী।
পরবর্তীতে দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের ৭৬ জন কাউন্সিল একইস্থানে শপথ নেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন কাউন্সিলর রাজশাহী এবং ৩৬ জন সিলেটের।
এসব কাউন্সিলরা স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে শপথ নেন। আর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা কেরেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
এ সময় অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও সিলেট সিটি করপোরেশনেরর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ নেয়া দুই মেয়রদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিয়ত প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে এবং বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে জয়লাখভ করেন।