তিনি বলেন, ‘জীবনমান উন্নয়নের সাথে সাথে জীবন যাপন প্রণালিতে পরিবর্তন আসাসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রামক বিভিন্ন রোগ বেড়ে চলেছে। সে কারণে এ সকল রোগের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করা প্রয়োজন। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে নারী চিকিৎসকরা এগিয়ে যাচ্ছে।’
ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত উইমেন অ্যাজ ওয়ান, বাংলদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হৃদরোগ চিকিৎসায় নারী চিকিৎসকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন, নারী চিকিৎসকরা দেশের সম্পদ। তারা নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও স্বাস্থ্য সেবা দিতে সক্ষম। এসময় তিনি হৃদরোগ চিকিৎসায় অধিক সংখ্যক নারী চিকিৎসক তৈরি, তাদের জন্য অনুকূল কর্মপরিবেশ ও অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড.শিরীন শারমিন বলেন, নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। হৃদরোগের সেবা নিতে আসা নারীদের সংখ্যা অনেক কম। এর পেছনে অন্যতম কারণ অজ্ঞতা, অসচেতনতা এবং পুরুষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে চিকিৎসা নিতে সংকোচ বোধ। এজন্য প্রতিটি হাসপাতালে নারী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া জরুরি। নারী চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এবং হৃদরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
‘বাংলাদেশে আজ নারী উন্নয়ন সকল ক্ষেত্রে দৃশ্যমান। এদেশের নারীরা অনেক নতুন ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কাজ করছেন,’ যোগ করেন তিনি।
তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ১২ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে-যা তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সকল প্রতিকূলতা জয় করে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে হৃদরোগের ন্যায় চিকিৎসায় নারীরা এগিয়ে আসতে উৎসাহী হবে। কেন না শুধু বাংলদেশে নয় সারা বিশ্বে হৃদরোগের চিকৎসায় নারী চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। এ ক্ষেত্রে নারী বান্ধব পরিবেশ, আয় বৈষম্য নিরসন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক, উইমেন অ্যাজ ওয়ান বাংলদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজিলা তুন নেসা মালিক।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আসা নারী হৃদরোগ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।