এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ মৌসুমে উৎপাদিত ধান ও গম এবং বৈধ ও সচল চালকল মালিকদের কাছ থেকে চুক্তির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মৌসুমের ধান থেকে ছাঁটাই করা চাল সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সরবরাহ করা মৌসুমে আবাদকৃত জমির পরিমাণ এবং সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণসহ ডাটাবেজ হতে প্রযোজনীয় সংখ্যক প্রান্তিক কৃষক নির্বাচন করবে। উপজেলা কমিটি প্রত্যেকের প্রদেয় খাদ্যশস্যের পরিমাণসহ নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট সংগ্রহ কেন্দ্রে পাঠাবে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও গম ক্রয় করা হবে।
সংগ্রহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কৃষকদের সনাক্ত করবেন। তালিকা বহির্ভূত কারো কাছ থেকে ধান ও গম ক্রয় করা যাবে না।
কিন্তু এই নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছ থেকে তা কেনা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এই বিষয়গুলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ।
রিটে বলা হয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোক বা স্থানীয় সরকারি দলের লোকজনই আসলে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের সুযোগ পায়। আর তারা কেউই প্রান্তিক কৃষক নন। ক্ষেত্র বিশেষে তারা গরিব কৃষকের ধান কম দামে কিনে বেশি দামে সরকারি গুদামে সরবরাহ করে থাকেন। ফলে ঋণ নিয়ে ধান উৎপাদন করে এখন কৃষকেরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ফিরোজ আলম। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।