বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আউয়াল দম্পতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তিন মামলায় তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে তিন সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা দায়ের করেন। তিনটিতে সাবেক এমপি আউয়াল ও একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়।
এ তিন মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তাদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাইকোর্ট। পরে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর মধ্যে জেলা জজকে বদলি করা হয়। বিকালে ফের জামিন আবেদনের পর বিচারক নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে দুজনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
মামলা সূত্র জানায়, পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি নিজের দখলে নেন এমপি আউয়াল। পরে সেখানে তিনি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। এতে চুক্তি করেন এমপির স্ত্রী লায়লা পারভীন।
এ ঘটনায় দুদক অনুসন্ধান শেষ করে মামলা দায়ের করে।
একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।