সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ ২০২০ এর উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মার্শাল ল’ রক্তপাত ছাড়া দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই, ‘সামরিক অভিধান’ থেকে আমাদের ‘মার্শাল ল’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিত।’
তিন বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ সদরদপ্তর থেকে এ সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলের ১৯টি ক্যু-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওই সময়ে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে।’
ওই সময় সশস্ত্র বাহিনীর এতো বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে যে যুদ্ধেও এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিহত হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা (সশস্ত্র বাহিনীতে) আর কোনো ছেলে হারা পিতা বা পিতা হারা ছেলের কান্না শুনতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সররকার দেশের সার্বভৌমত্ব, সীমান্ত সুরক্ষায় সশস্ত্র বহিনীকে আরও আধুনিক ও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যাতে সব ধরণের প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে জন্য সরকার বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার অত্যাধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন এক আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চায় যাতে এ বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কাজ করতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদকে যৌক্তিক উপায়ে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কর্মকর্তাদের এ দায়িত্ব পাওয়া উচিত।
সভায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অংশ নেন।