বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিটে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।
এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
ওইদিন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চার্জশিট দেয়া নিয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে ১৫ দিনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আমরা এর মধ্যেই করেছি। অস্ত্র পজিশনে পাওয়া গেলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটা তিনি যদি ব্যবহার নাও করেন তাও অপরাধ। অস্ত্র মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণ দরকার আমরা সবকিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি এবং তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবে।’
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের একটি অস্ত্র মামলা আমরা তদন্ত শেষ করেছি। দুজন সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। সাহেদ যখন আমাদের রিমান্ডে ছিলেন, তখন ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি।’
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। অভিযানে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।