সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইউএনও-এসিল্যান্ডের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলায় শতবর্ষী খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা মাটি দিয়ে ভরাটের সময় এই হামলার ঘটনায় দেড় শতাধিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার সকালে এ ঘটনার পর রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পেশকার আব্দুল হাই বাদী হয়ে ৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিডিও ও ছবি দেখে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। অযথা কেউ হয়রানির শিকার হবে না বলে নিশ্চয়তা দেন তিনি।
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারের রেকর্ডভুক্ত পতিত জমি। এর পাশেই একটি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ আছে। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি সরকারি ও ১৯৮০ সালের সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী পতিত জমি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছাড়া ক্রীড়া সংস্থার অন্য আর কোনো খেলার মাঠ নেই। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অন্য কোনো সরকারি জায়গা যদি থাকে তাহলে খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ না করাই ভালো বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলার বলদিপাড়া-হলদিঘর খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বিরোধিতা করে আসছিলেন স্থানীয়রা। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করেন। রবিবার সকালে মাটি ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে বিরোধিতাকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে সহকারী কমিশনারের মাথায় আঘাত লাগে। তাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর তার মাথায় আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মাসুদ রানা। বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।