মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিলেটের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হেলাল চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গির আলম। এসময় সিলেট বন বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে রেস্টুরেন্টের দুই কর্মচারী আব্দুল আওয়াল ও কাওছার আহমদকে আটক করা হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম ওই রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এসময় তিনি দেখতে পান রেস্টুরেন্টে খেতে আসা অনেক অতিথিকে রান্না করা পাখি পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি বন বিভাগ ও র্যাবকে অবহিত করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় র্যাব-৯ এর একটি দল।
অভিযানকালে রেস্টুরেন্টে রান্না করা ৩৯টি পাখি ও ফ্রিজ থেকে আটটি বালি হাঁস, ২৫টি পরিযায়ী পাখি, ২০টি বকসহ মোট ১০১টি পাখি জব্দ করা হয়। এসময় রেস্টুরেন্ট মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের মালিকসহ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়েরসহ আটক ব্যক্তিদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব ৯ এর সিনিয়র এএসপি মাইনউদ্দিন
পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘শীত মৌসুমে বাংলাদেশে অনেক অতিথি পাখি আসে। এক শ্রেণির অসাধু লোক এগুলোকে শিকার করে বিক্রি করে। অনেক রেস্টুরেন্টে পাখির মাংসও পরিবেশন করা হয়। এ অভিযানের ফলে আশা করছি তারা সবাই সচেতন হবেন।’