চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামীসহ দুজনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
শনিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
আটক দুজন হলো- মামলার প্রধান আসামী সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী মো. জাহেদ।
র্যাব জানায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড মিজিপাড়া এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাশেমনগরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। গত ২৩/২৪ দিন আগে তার স্বামীকে পুলিশ আটক করে জেলে নিয়ে যায়। তাই ওই নারী তার দুই সন্তানকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি উপজেলার মুরাদপুরে চলে যায়। গত ২৮ জুলাই আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় ওই নারী জানতে পারেন যে, কতিপয় দুস্কৃতিকারী তার বাসায় ঢুকে মালামাল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং মালামাল এলোমেলো অবস্থায় আছে। এসময় আসামীরা তার বাসা থেকে আনুমানিক দেড়লক্ষ টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া মালামাল আনার জন্য ওই নারী তার ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই এর ছেলেসহ ২৮ জুলাই দিবাগত রাত অনুমান সোয়া ১২ টার সময় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার ওপর পৌঁছালে দুস্কৃতিকারীরা ওই নারীর ভাগিনা ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় আসামীরা বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মকবুল রহমান জুট মিল সংলগ্ন রেল লাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে ওই নারীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
র্যাব আরও জানায়, দুস্কৃতিকারীরা ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। খবর পেয়ে ওই নারীর বড়ভাই তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ওই নারী সীতাকুণ্ড থানায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
লে.কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, আটক মূল আসামী সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। আটক দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার কথা স্বীকার করে। তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার