বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) রজনীকান্ত মিশ্র দাবি করেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা অ-প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেন এবং তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বিরল।
শনিবার ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদরদপ্তরে মহাপরিচালক-পর্যায়ে সম্মেলন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রজনীকান্ত মিশ্র এ কথা বলেন।
তিনি জানান, বিএসএফ ‘অ-প্রাণঘাতী অস্ত্র নীতি’ গ্রহণ করেছে এবং তাদের বাহিনীকে সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
‘দুর্ভাগ্যবশত, কখনও কখনও অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং আমাদের লোকদের ওপর পাথর, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়,’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিরল থেকে বিরলতম ঘটনায় (বিএসএফ সদস্যদের) কাউকে লক্ষ্য করে নয়, নিজেদের রক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে।’
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তে ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিএসএফের হাতে কমপক্ষে ১ হাজার ১৪৪ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
রজনীকান্ত মিশ্র বলেন, আলোচনাকালে বিজিবি প্রধান সীমান্ত হত্যা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত হত্যা ছাড়াও তারা অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক ও জাল টাকা চোরাচালান নিয়ে আলোচনা করেছেন।