তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য কখন, কী প্রয়োজন সে সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে জানি এবং আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এজন্য আমরা একটি পেশাদার ও সুপ্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই।’
মিরপুর সেনানিবাসে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স (এএফডব্লিউসি) ২০১৯ এর স্নাতক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার গৃহীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে সরকার ‘সশস্ত্র বাহিনী গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
‘বিশ্ব ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। সেজন্য পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমাদের অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম থাকতে হবে এবং এসবের জন্য সব ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বশেষ সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। যাতে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামসমূহের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে ও যেকোনো পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার সময় দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অবদানের রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে আরও উন্নত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আশা করেন, সনদপ্রাপ্ত স্নাতকরা জাতিকে স্থিতিশীলতা, স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনডিসি কমানড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ।
সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন এবং বিদেশি সামরিক বাহিনীর মোট ৮৫ কর্মকর্তা এনডিসি কোর্স ২০১৯ এবং ৩৮ জন এএফডব্লিউসি-২০১৯ কোর্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।
এনডিসি স্নাতকদের মধ্যে চীন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, মালি ও নাইজার থেকে ১৬ জন বিদেশি সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দুটি কোর্সের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশংসাপত্র বিতরণ করেন।