তাদের বহনকারী সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রবিবার রাত ১১টা ৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরীফুল হাসান।
ফেরত আসা শ্রমিকদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবার সরবরাহসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সৌদি প্রশাসন প্রতিদিন শত শত বিদেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। রিয়াদ ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে এখন হাজারখানেক বাংলাদেশি রয়েছেন।
ভাগ্য বদল করতে বিদেশে গিয়ে এমন দুর্দশা নিয়ে ফেরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না চাঁদপুরের বাবুল হোসেন। তার অভিযোগ, সৌদিতে ছয় মাসের বৈধ আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) থাকার পরও কর্মস্থল থেকে ধরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার কোনো কথা শুনেনি দেশটির প্রশাসন।
টাঙ্গাইলের আলিম ও মনির হোসেন, নরসিংদীর মো. জোবাইর, লক্ষ্মীপুরের ফরিদ, মুন্সিগঞ্জের শরিফ হোসেন এবং মেহেরপুরের সেলিম রেজাসহ অনেকের অভিযোগ, বৈধ আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের জোর করে ধরে জেলখানাতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ আকামা নবায়ন করেনি বা তা বাতিল করে শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, এ ক্ষেত্রে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে সমস্যাটি বড় আকার ধারণ করবে বলে জানান তারা।
সৌদি প্রেস এজেন্সির সংবাদ অনুযায়ী, দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান অভিযানে কাজ ও থাকার নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় ৩৮ লাখ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এ অভিযান চলছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫২১ জনকে।
গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও সংবাদে উল্লেখ করা হয়।