বাংলাদেশ বলেছে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- এই নীতির ভিত্তিতে স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার জন্য দেশের সার্বভৌম অধিকারের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে সম্মান আশা করে দেশটি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্যের উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মুখপাত্রের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলতে চায়, যে কোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের মতো দেশে এবং বিদেশে নিজস্ব কর্মপন্থা নির্ধারণে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ। জনগণের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
এর আগে বুধবার চীন বলেছে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্ত অবস্থানই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের; বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের বড় অংশের মনের কথাও বলেছেন।’
বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রকৃতপক্ষে নিজস্ব জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক হামলা এবং মাদকের বিস্তারের সমস্যার প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে এবং এর দেশের বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
তিনি বলেন, তারা সব ধরনের আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে, জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এবং জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলো এবং মানবজাতির জন্য একটি ভাগ করা ভবিষ্যতসহ একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলুন।