মহামারি করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই স্বেচ্ছাসেবায় অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে কোনো দুর্যোগে, আপদে-বিপদে এ দেশের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এটি এ দেশের মানুষের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য।’
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা মহৎ কাজ করেন তাদের স্বীকৃতি দেয়ার মতো কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই জানার পরে ইউএনভি’র অনুরোধে মন্ত্রী একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বলে জানান।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটার এইডের অয়োজনে রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২০ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু হয় এবং তখনই বঙ্গবন্ধু তার চিন্তা চেতনায় স্বেচ্ছাসেবীদের বিষয়ে ভেবেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালা তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, দেশে বিএনসিসি, গার্লস গাইড, স্কাউটসসহ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য ছেলেমেয়ে যুক্ত আছে। এর সাথে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিসহ আগ্রহী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন ও কমিটির কার্যপরিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
তাজুল ইসলাম জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরিতে সকলকে মতামত প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নীতিমালা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এটি দেশ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়।