এ বিষয়ে তাকে প্রধান পরামর্শক করে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে জাতিসংঘ ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে এক সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে, মানুষের বিপদে-আপদে ও সংকটকালীন সময়ে ছাত্র-শিক্ষক, তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা তাদের কাজের স্বীকৃতি সেভাবে পাচ্ছেন না।
তাজুল ইসলাম জানান, স্বেচ্ছাসেবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অধীনে কয়েকটি সাব-কমিটি থাকবে।
জাতীয় নীতিমালা হলে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে ও এসডিজি বাস্তবায়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে থাকা সাব-কমিটি সারা বিশ্বের সাথে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবাকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় তা নির্ধারণ করবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ জাতীয় নীতিমালা প্রস্তুত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাজুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের সচিব ও সিইও সুলতানা আফরোজ, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউএনভি’র এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিনা মিয়া, ইউএনভি’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর আকতার উদ্দীন, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।