নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের সবুজবাগের অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান বাবু, একই এলাকার মৃত আলাউদ্দিন শিকদারের ছেলে ও সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি এস এম সাদিকুল আলম সাদিক, শহরের থানা পাড়ার গাজী মিজানুর রহমান হিটুর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র বৃত্তি বিয়ষক সম্পাদক ওয়ালিদ মাহমুদ উৎসব, শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার রসুলপাড়ার আলমগীর হোসেন মোল্লার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদ এবং চাঁদমারীর ওয়াহিদ গাজীর ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য অনিমুল ইসলাম গাজী।
এদের মধ্যে সাদিক বাদে বাকি সবাই গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
লবণচরা থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচ নেতা প্রাইভেটকারে খুলনা থেকে গোপালগঞ্জে ফিরছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
ওসি আরও জানান, নিহত পাঁচ জনের মরদেহ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে এসে পৌঁছিয়েছে। তাদের লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছানোর পরই পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশি ও স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
বাদ জোহর গোপালগঞ্জে শেখ ফজলুল হক মণি ষ্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, পাঁচ ছাত্র-যুবলীগ নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিল। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য রাজনীতি করতো। তাদের মধ্যে দেশ ও জাতির জন্য অনেক কিছু করার সোনালী স্বপ্ন নিহিত ছিল। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তাদের মৃত্যুর খবরে গোপালগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ শোক বহন করার শক্তি আমাদের নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এটি আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে মানুষের জীবন নিরাপদ করতে সরকার, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’