শিক্ষার্থীরা জানায়, আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে ১ হাজার ৪৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র কলেজ থেকে দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে প্রবেশপত্র মিলছে না। উল্টো কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেন, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট অথবা কলেজের পাশের কম্পিউটার দোকান থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করিয়ে নিতে। অথচ শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে কোনো ধরনের প্রবেশপত্র আপলোড করা হয়নি।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট নিলে পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। তবে কলেজের ওয়েবসাইটে প্রবেশপত্র আপলোড না করে পেনড্রাইভের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তিনটি কম্পিউটার দোকানে কেন সরবরাহ করা হলো এ প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই এ কাজ করতেন, তাহলে তারা অনার্স পরীক্ষার প্রবেশপত্রের মতো এইচএসসির প্রবেশপত্রও কলেজের ওয়েব সাইটে আপলোড করতেন। তা না করে কলেজ সংলগ্ন কয়েকটি কম্পিউটার দোকানে প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়। আর এ বিনামূল্যের প্রবেশপত্র প্রিন্ট করতে গুণতে হয় ৩০-৪০ টাকা। কারণ ওই নির্দিষ্ট কম্পিউটার দোকানগুলো ছাড়া অন্য দোকান থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট নেয়া যায় না।
এ ব্যাপারে কম্পিউটার দোকানগুলোর মালিকরা জানান, কলেজের অফিস সহকারী আলী নেওয়াজ তাদের এ প্রবেশপত্র সরবরাহ করেন।
বিষয়টি স্বীকার করে অফিস সহকারী জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি এ প্রবেশপত্র ওই দোকানগুলোতে সরবরাহ করেন। কলেজের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে সমস্যা হওয়ায় এ তিনটি কম্পিউটার দোকানে তা সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী তার কাছে গেলে তিনি প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে দেন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. এলিয়াছ হোসেন জানান, পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য প্রবেশপত্র কম্পিউটারের দোকানগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে।
বিনামূল্যের প্রবেশপত্র কলেজের ওয়েবসাইটে আপলোড না করে কম্পিউটার দোকানে কেন সরবরাহ করা হলো এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কম্পিউটারজনিত সমস্যার কারণে ওয়েবসাইটে আপলোড করা যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবির আহমদ জানান, এইচএসসির প্রবেশপত্র কলেজ অধ্যক্ষ কর্তৃক সরবরাহ করার কথা। তবে তিনি পরীক্ষার্থীদের সুবিধা চিন্তা করলে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারেন।