ওই দুই পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন পৃথক ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন।
সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূইয়া স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
৫৩টি বেঞ্চের মধ্যে শারীরিক উপস্থিতিতে অর্থাৎ নিয়মিত আদালতে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৮টি এবং ভার্চুয়ালি অর্থাৎ শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
শারীরিক উপস্থিতিতে যে ১৮টি বেঞ্চে শুনানি হবে এর মধ্যে ১৩টি ডিভিশন (দু’জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত) এবং ৫টি একক (একজন বিচারপতির) বেঞ্চ।
এছাড়া ভার্চুয়ালি শুনানির জন্য যে ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে, এর মধ্যে ২৪টি ডিভিশন এবং ১১টি একক বেঞ্চ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করে। এরপর সর্বোচ্চ আদালতসহ দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
এরই মধ্যে ‘ভার্চুয়াল আদালতে’ (শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই) শুনানির জন্য গত ৯ মে সরকার ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার’ অধ্যাদেশ জারি করে। পরে ১১ মে থেকে ওই অধ্যাদেশ অনুযায়ী দেশে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু আইনজীবীদের একটি বড় অংশ নিয়মিত আদালত চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলো। এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের অধস্তন আদালতে নিয়মিত বিচারকার্যক্রম শুরু হয়। আর উচ্চ আদালতে ভার্চুয়াল আদালতের পাশাপাশি নিয়মিত আদালত চালু করে সোমবার আদেশ জারি করলো সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।