ওই মামলা বাতিল চেয়ে দুই আসামির (পুলিশ কর্মকর্তা) করা আবেদন খারিজ করে বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
একই সঙ্গে ওই মামলার কার্যক্রমে ইতিপূর্বে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে হাইকোর্ট বলেছে, আইনে নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে মামলাটির বিচারকাজ শেষ করতে হবে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সেকশন-১১, ব্লক-বি ইরানি ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. সাদেকের ছেলে মো. বিল্লালের গায়ে-হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
এ সময় সেখানে থাকা ইশতিয়াক হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেনকে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে সুমনের সঙ্গে দুই ভাইয়ের বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে সুমনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে দুই ভাইকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে দুই ভাইকে নির্যাতন করা হয়।
এ সময় ইশতিয়াকের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান (জাহিদ), এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান (মিন্টু) এবং পুলিশের তথ্যদাতা (সোর্স) সুমন ও রাশেদ।
অভিযোগ গঠনের পর হাইকোর্টে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন পল্লবী থানার তৎকালীন এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান।
বুধবার তাদের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাইকোর্ট।