আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ লক্ষ্য অর্জনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যদের সহযোগিতা চান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
সোমবার (৮ জুলাই) পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে।’
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গাছ লাগানো হলেও ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে বাড়ির নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করতে বলা হয়েছে। অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ ও ঔষধি যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী