নির্ধারণ
সরকারি চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার আবেদন ফিসহ সব ধরনের চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসঙ্গে বিসিএসে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীদের অন্যান্যদের মতো নির্ধারিত ফির বাইরে বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সচিব।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘বিসিএসে পিএসসিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আগে ছিল ৭০০ টাকা, তারা প্রস্তাব করেছেন ৩৫০ টাকা। কিন্তু আজকে সচিব কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা হবে ২০০ টাকা। পিএসসিতে ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করতে হলে ২০০ টাকা লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় ছিল, আমরা মনে করেছিলাম এটা কম, কিন্তু এটা কম নয়- যারা প্রতিবন্ধী প্রার্থী তাদের আলাদা একটা ফি ছিল ১০০ টাকা। এটাকে কমিয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছিল। আজকে থেকে এই অতিরিক্ত টাকাটাও দেওয়া লাগবে না। এটা ফ্ল্যাট রেট; আসন্ন ৪৭তম বিসিএস থেকে যে-ই বিসিএসে অ্যাপ্লাই করবে, তার ফি ২০০ টাকা।’
বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ফি কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে আদেশ জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সচিব।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা: আন্দোলনকারীদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ বিভাগের মাধ্যমে আরেকটি আদেশ জারি হচ্ছে। সেটি হচ্ছে- ব্যাংক, বীমা, আধা-সরকারি যেটাকে আমরা বলি এক্সটেনশন অব দ্য গভর্নমেন্ট, এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদন ফিও সর্বোচ্চ ২০০ টাকা।’
‘এখন ব্যাংক-বীমার এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে (আবেদনে) ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকাও ফি নিয়ে থাকে। চাকরি হয় দুজনের হয়তো, ২০০ লোক আবেদন করে; আমি আর হাজারে গেলাম না।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই সচিব বলেন, ‘সরকারি, আধা-সরকারি বা এক্সটেনশন অব দ্য গভর্নমেন্ট বলতে যা বোঝায়, তার সবক্ষেত্রে ২০০ টাকার বেশি কোনো আবেদন ফি নেওয়া হবে না। এই আদেশ অর্থ বিভাগ থেকে জারি হবে। এখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন আদেশের অপেক্ষা।’
‘আমরা অর্থ বিভাগের চিঠিতে একটি লাইনের অনুরোধ দিয়ে দেব যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও যাতে এই অনুশাসনটা মেনে চলার চেষ্টা করে।’
‘এই অনুরোধটা আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও জানাতে পারি। সবটা হল আমাদের জনগণের জন্য। ওরাও যে ব্যবসা করে, সেটা জনগণের জন্য; আমরা যে চাকরি দেই, নেই, তাও জনগণের জন্য। প্ল্যাটফর্মটি তাই একই হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ
২ সপ্তাহ আগে
১ বছরে ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি: গণপূর্তমন্ত্রী
আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ লক্ষ্য অর্জনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যদের সহযোগিতা চান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
সোমবার (৮ জুলাই) পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে।’
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গাছ লাগানো হলেও ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে বাড়ির নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করতে বলা হয়েছে। অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ ও ঔষধি যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
৫ মাস আগে
আগামী ২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৮০৪ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ায় আগামী দুই অর্থবছরে এ খাতে ৮০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে।
সরকার পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।’
'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' শীর্ষক নথিতে বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ) উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন ৮ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৬৭২ কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বর্তমান সক্ষমতা প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট।
নথিতে আরও বলা হয়, সরকার মোট ১ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ এমএমসিএফডি গ্যাস যোগ করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা
এছাড়া মোট ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ হাজার ৫৭০টি সোলার সেচ পাম্প এবং গ্রিড বহির্ভূত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের জন্য ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বলেও ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, উৎপাদন ও সরবরাহ উভয় ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯টি গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা হয়েছে এবং দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি অনুসন্ধান কূপ খনন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা থেকে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা যোগ হতে পারে।
একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা থেকে দৈনিক আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন সক্ষমতা বাড়বে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যয় দক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আন্তঃদেশীয় জ্বালানি পরিবহনের জন্য একটি আঞ্চলিক পাইপলাইন নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের ভিত্তিতে জ্বালানির নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
সরকার জ্বালানি শোধনাগারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস উভয়ের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন এবং সমতল ও উপকূলীয় অঞ্চলে উভয় জরিপের মাধ্যমে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়েছে।
পাশাপাশি জ্বালানি দক্ষতা ও সিস্টেম লস হ্রাসকেও অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে বলে এতে বলা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, গ্যাস বিতরণ খাতে সিস্টেম লস দুই বছর আগে ছিল ২২ শতাংশ, তা থেকে কমিয়ে তা এখন সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ছিল ২২ শতাংশ।আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
৭ মাস আগে
রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ
পবিত্র রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইজতেমা উপলক্ষে সড়ক ও পার্কিং নির্ধারণ করল ডিএমপি-জিএমপি
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
৯ মাস আগে
মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো, মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোল্টি সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান চেয়ারম্যানের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নিহতের অভিযোগ
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আগাতে চাই। তাদের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।
এছাড়া নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার ঊর্ধ্বে থেকে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরসহ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
১০ মাস আগে
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
১১ মাস আগে
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
সারাদেশে দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত কালীঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের বিকেলের মধ্যে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিলেটে পাইকারি বাজারে দেশি (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ ১২০ ও এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান হুমায়ূন কবির।
বৈঠকে অতিরিক্ত দামে সিলেটে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা বাজার মনিটরিংয়ে আছি। দুপুরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে দাম নির্ধারণ করেছেন। কালীঘাটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০, এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও আমরা এখানে অবস্থান করে এই দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
১ বছর আগে
বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে নিজ দেশের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে কাজ করবে। ‘আমার মনে হয় আমি এটা অনেকবার বলেছি।’
কোনও একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে পঞ্চম বার্ষিক ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের উদ্বেগের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।’
দ্বিপক্ষীয় ২+২ বৈঠকে দুই দেশের দুই জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সাধারণত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশের রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহতও রাখবে নয়া দিল্লি।
এর আগে ভারত বলেছিল, তারা বাংলাদেশের 'স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল' জাতির রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
১ বছর আগে
বাস-ট্রাকের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ স্থগিত করায় জাতীয় কমিটির উদ্বেগ
বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়বে বলেও আশঙ্কা করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি
রবিবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জনস্বার্থে অবিলম্বে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার এর আগে যে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যৌক্তিক। এর মধ্যে একটি হলো- বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক জীবনকাল নির্ধারণ করে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা বাস এবং ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ট্রাকগুলোকে নিষিদ্ধ করা।
অন্যটি হলো- গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমন ও করিমনসহ ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আন্তরিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
ঈদে মহাসড়কে ৯ দিন মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির
১ বছর আগে
রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
রপ্তানি খাতে প্রি-শিপমেন্ট ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি খাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের জন্য 'স্মার্ট' সিস্টেমে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মুনাফা যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
সুদ গণনার নতুন কাঠামো ১ জুলাই বাস্তবায়ন করেছে বিবি। এই ব্যবস্থায়, ব্যাংকগুলো 'স্মার্ট' (১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের স্মার্ট ছয়-মাসের চলমান গড় হার) -এর সঙ্গে সর্বাধিক ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ গণনা করতে পারে। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের জন্য তা কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের গড় হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এতে ব্যাংকগুলো প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ২ শতাংশ যোগ করলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক পরিচালক হতে পারবেন এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৩ জন: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে