নির্ধারণ
রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ
পবিত্র রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইজতেমা উপলক্ষে সড়ক ও পার্কিং নির্ধারণ করল ডিএমপি-জিএমপি
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো, মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোল্টি সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান চেয়ারম্যানের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নিহতের অভিযোগ
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আগাতে চাই। তাদের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।
এছাড়া নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার ঊর্ধ্বে থেকে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরসহ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
সারাদেশে দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত কালীঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের বিকেলের মধ্যে সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিলেটে পাইকারি বাজারে দেশি (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ ১২০ ও এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান হুমায়ূন কবির।
বৈঠকে অতিরিক্ত দামে সিলেটে পেঁয়াজ বিক্রি না করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। পাশাপাশি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।সিলেটের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সালেহ মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমরা বাজার মনিটরিংয়ে আছি। দুপুরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে দাম নির্ধারণ করেছেন। কালীঘাটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০, এলসি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়াও আমরা এখানে অবস্থান করে এই দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করিয়েছি।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
চরকির পর্দায় যৌথ প্রযোজনার ‘দম’
বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে নিজ দেশের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, এটি এমন একটি বিষয় যা বাংলাদেশের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এ বিষয়ে কাজ করবে। ‘আমার মনে হয় আমি এটা অনেকবার বলেছি।’
কোনও একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে পঞ্চম বার্ষিক ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশের উদ্বেগের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।’
দ্বিপক্ষীয় ২+২ বৈঠকে দুই দেশের দুই জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সাধারণত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে ভারত। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশের রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহতও রাখবে নয়া দিল্লি।
এর আগে ভারত বলেছিল, তারা বাংলাদেশের 'স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল' জাতির রূপকল্পকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
বাস-ট্রাকের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ স্থগিত করায় জাতীয় কমিটির উদ্বেগ
বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়বে বলেও আশঙ্কা করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি
রবিবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জনস্বার্থে অবিলম্বে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার এর আগে যে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যৌক্তিক। এর মধ্যে একটি হলো- বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক জীবনকাল নির্ধারণ করে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা বাস এবং ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ট্রাকগুলোকে নিষিদ্ধ করা।
অন্যটি হলো- গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমন ও করিমনসহ ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আন্তরিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
ঈদে মহাসড়কে ৯ দিন মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির
রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
রপ্তানি খাতে প্রি-শিপমেন্ট ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি খাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের জন্য 'স্মার্ট' সিস্টেমে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মুনাফা যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
সুদ গণনার নতুন কাঠামো ১ জুলাই বাস্তবায়ন করেছে বিবি। এই ব্যবস্থায়, ব্যাংকগুলো 'স্মার্ট' (১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের স্মার্ট ছয়-মাসের চলমান গড় হার) -এর সঙ্গে সর্বাধিক ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ গণনা করতে পারে। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের জন্য তা কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের গড় হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এতে ব্যাংকগুলো প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ২ শতাংশ যোগ করলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক পরিচালক হতে পারবেন এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৩ জন: বাংলাদেশ ব্যাংক
নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী টোল হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ।
টানেলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু টানেলে মোট ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে। এই টানেলে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দিন থেকে এই টোল হার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
তবে এখনো ট্যানেল খুলে দেওয়া বা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলে সর্বনিন্ম টোল ২০০ টাকা। প্রাইভেটকার পারাপারে এই টোল দিতে হবে।
প্রতিবার পিকআপ পারাপারে টোল লাগবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৩০০ টাকা।
৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা। ৩ এক্সেল বিশিষ্ট বড় বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
৫ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। ৮ টনের ট্রাক পারাপারে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে।
৩ এক্সেলের ট্রেইলারে টোল লাগবে ৮০০ টাকা। ৪ এক্সেলের ট্রেইলারে দিতে হবে ১ হাজার টাকা। পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
এদিকে কর্ণফুলী আমানত শাহ সেতুর তুলনায় যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেলে আড়াই থেকে ৬ গুণ টোল দিতে হবে। আমানত শাহ সেতুতে প্রাইভেটকারের টোল ৭৫ টাকা।
সেতুতে ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৫০ টাকা। টানেলে তা ৩০০ টাকা। ফলে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেলকে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সেতুর সঙ্গে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ নির্ধারণ
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় খরচ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হজ উপলক্ষে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হজ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন খাতের ব্যয় পর্যালোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। মিনার তাঁবুর সি-ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।’
গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ' এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। বেসরকারি হজ প্যাকেজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ' এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর আগের মতোই এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।
এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘রুট টু মক্কা চুক্তি’ অনুযায়ী ওই বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর থেকে এবার হজ প্যাকেজের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর রিয়ালের মূল্য ছিল ২১ টাকা, এখন নেই রিয়ালের মূল্য ৩০ টাকা। এক লাখ টাকার বেশি এখানেই চলে আসে। আনুষঙ্গিক ব্যয় খুব একটা বাড়েনি। বিভিন্ন খাতে সমন্বয় করে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির মধ্যেই হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
এবার বিমান ভাড়া কত জানতে চাইলে ফরিদুল খান বলেন, ‘এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমান ভাড়া কেন বেড়েছে তা আপনাদের বিবেচনা করা উচিত। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিমান ভাড়া বেড়েছে। বিমান ভাড়া নিয়ে আমরা বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিনদিন বসেছি। বর্তমান সময় আমাদের অনুকূলে না থাকার কারণে বিমান ভাড়া বাড়াতে হয়েছে।’
গত বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৪০ হাজার।
আগের মতো তিনটি বিমান সংস্থা (বিমান বাংলাদেশ, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার) এবারও হজযাত্রীদের পরিবহন করবে বলেও জানান ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
এবার একটি প্যাকেজ কেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একটি প্যাকেজই আমাদের থাকবে। এটার বিষয়ে আর অন্য কোন ব্যাখ্যা নেই।’
বেসরকারিভাবে মিনায় ডি-ক্যাটাগরি অনুসারে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ টাকার মতো পড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আমরা ব্যয়ের খাত দিয়ে দিয়েছি। হাব (হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এটা নির্ধারণ করবে। সি-ক্যাটাগরি নিয়েও তারা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। আমরা তাদের গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছি।’
হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘বেসরকারি হজ প্যাকেজ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে।’
করোনাভাইরাস মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজ হয়েছে। তখন বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ হজ পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেনি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
করোনা মহামারি কমে এলে গত বছর (২০২২) বিভিন্ন দেশের কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা করে রেমিটেন্স দিতে দেশের সিডিউল ব্যাংকগুলোকে বলেছে।
একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী এখন ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠালেও প্রতি ডলার ১০৭ টাকা পাবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেডা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারে প্রেরকরা পাচ্ছেন ৯৯ দশমিক ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
এ ছাড়া এখন থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো কোন প্রকার ফি নেবে না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে ডলার নিয়ে এলসি খুলতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষে বাফেডার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহকে উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে এক্সচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
২৫% রেমিটেন্স কমেছে সেপ্টেম্বরে, স্থির বিনিময় হারকে দায়ী করছেন ব্যাংকাররা