মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সভাকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এনইসি সভায় নতুন এডিপির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবার এনইসি সভা নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এডিপির একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাহী ক্ষমতা বলে সেটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
সূত্র আরও জানায়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্যে এডিপিতে নয় হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোট এডিপির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের এডপিতে পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তারা আরও বলছেন, এডিপির এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা আসবে সরকারি কোষাগার থেকে এবং ৭০ হাজার ৫০১ কোটি টাকা আসবে বিদেশি সহায়তা থেকে।
আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে এক হাজার ৮৪৭টি অনুমোদিত প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ছাড়া এটি হবে এক হাজার ৫৮৮টি।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ছাড়া প্রকল্পের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৪৪টি। ফলে নতুন অর্থবছরে ১৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্প কমে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে পরিবহন খাতে ৫২ হাজার ১০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ খাতে ২৪ হাজার ৮০০ কোটি, শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি, স্বাস্থ্য খাতে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি এবং কৃষি খাতে আট হাজার ৪২৪ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) এডিপির পরিমাণ ছিল দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে কমে দাঁড়ায় এক লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।