মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের শিকারদের মাঝে ৪৮ শতাংশের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছর এবং ৩৯ শতাংশের বয়স ৭ থেকে ১২ বছর।
এছাড়া, ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯৩ শিশু।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমজেএফের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রাফিজা শাহীন এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আটটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৯৮৬ শিশু মারা গেছে। তাদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৩, পানিতে ডুবে ২৫২ এবং ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, অপহরণ, নিখোঁজ ও নির্যাতনসহ নানা কারণে ৩৬১ শিশু মারা গেছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে পারিবারিক বিষয় ও সম্পদ নিয়ে কলহ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থতা ও মানসিক চাপের মতো কারণে ২৬৬ শিশু হত্যা এবং ৬৩ শিশু হত্যাচেষ্টায় আহত হয়েছে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২২৭ ও ৪৯।
এছাড়া, গত বছর ৬৫ শিশু আত্মহত্যা করে এবং ৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টায় আহত হয়। আর অপহরণের শিকার হয় ৮৩ জন।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সাবিনা সুলতানা অন্যান্যের মাঝে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।