বার্ষিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে 'রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭' এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) কমিটির এক বৈঠকে এই নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিদেশ থেকে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হওয়ায় সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, নতুন খসড়া রপ্তানি নীতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে দেশে আসন্ন চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খসড়া নীতিমালাটি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
সচিব আরও বলেন, 'আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছি এবং রপ্তানি খাতে কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং কোন পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন, নতুন নীতিমালায় সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়াও নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নতুন রপ্তানি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে উত্তরণের কৌশল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ।
মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের রপ্তানি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে এবং রপ্তানিকারকদের আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে নতুন রপ্তানি নীতিমালায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সম্ভাব্য রপ্তানি পণ্য হিসেবে শাকসবজি, হস্তশিল্প, ডাইং এবং প্রিন্টিংয়ের মতো কিছু নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ ও সরঞ্জাম উৎপাদনের বিষয়ে নতুন নীতিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ