শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় ভাটারা সাইদ নগরে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকে বর্জ্য রাখেন না। এ কোরবানি তিন দিনের জন্য। আজকে যে সকল পশু কোরবানি দেয়া হবে, আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অবশ্যই বর্জ্য অপসারণ করব। আবার কাল, পরশুও অনেকে কোরবানি দিবেন। সেটি কিন্তু আর ২৪ ঘণ্টা লাগবে না, তার আগেই অপসারণ করা হবে।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নগরবাসীকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, আপনারা যারা কোরবানি দিচ্ছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে দিন, ডিএনসিসির পরিছন্নতা কর্মীরা তা সংগ্রহ করবে। আমরা যদি সুনাগরিক হই, তাহলে শহরটা কিন্তু পরিষ্কার থাকে।’
বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অনুরোধ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘একদিকে করোনা, আরেকদিকে ডেঙ্গুর চ্যালেঞ্জ। আমরা ১১টি ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে ব্লিচিং পাউডার ও তরল জীবাণুনাশক ছিটানো শুরু করবো।’
‘আমরা একটি অ্যাপ তৈরি করে ডিএনসিসির ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে দিয়েছি। এটি ডাউনলোড করে ওপেন করে বর্জ্যের ছবি জমা দেয়া হলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবো কোথায় বর্জ্য রয়ে গেছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমাদের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে,’ বলেন তিনি।
বর্জ্য অপসারণ উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।