ডিএনসিসি মেয়র
৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
এ বছর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও আমি নিজে মাঠে থাকব।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া হটলাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে।
মেয়র বলেন, বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।
বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবর সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।
মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে কুইক রেসপন্স টিম: ডিএনসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৩০০ কর্মী নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে ১০ জন করে মোট ১০০ জন সদস্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীরমার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (২৭ মে) বিকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকায় প্রধান সড়কগুলোতে কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি।
এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬ নম্বরে প্রাপ্ত ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেতের কী অর্থ?
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
৫ মাস আগে
রিকশাচালকদের ছাতা-স্যালাইন-পানির বোতল দিলেন ডিএনসিসি মেয়র
দাবদাহের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে রিকশাচালকদের মধ্যে রিকশায় স্থাপনযোগ্য একটি ছাতা, পানি পানের বোতল, ১২ প্যাকেট করে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে এই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দিন দিন দাবদাহ প্রকট হয়ে উঠছে। প্রতিদিন যাদের জীবিকার জন্য বাইরে বের হতে হয়, তাদের কষ্ট বেড়ে যায়। সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে, বিশেষ করে রিকশাচালক তাদের কষ্ট আরও বেশি হয়। তারা যাতে অন্তত ছাতার ছায়াতে থাকতে পারে এজন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ছাতা দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র আরও বলেন, সিটি করপোরেশনে যতগুলো নিবন্ধিত রিকশা রয়েছে, সবগুলোর চালককে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে, সেটি আধা লিটারের। এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজন মতো স্যালাইন গুলে খেতে পারবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কটি একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক: ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি আধা লিটার পানির কনটেইনার বিতরণ করলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে রিকশাচালক ভাইদের খুব কষ্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে পুরো পরিবারের জন্য অনেক সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারে, তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাদের পরিবার কিন্তু চলতে পারবে না। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক আয়ের উপরে তাদের পরিবার চলে।
তাই তীব্র তাপদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এ উদ্যোগ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
ছাতা বিতরণ কার্যক্রমটি দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপরাষ্ট্রদূত।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ছাতাটা আমরা বিশেষভাবে তৈরি করেছি। এটা অ্যাডজাস্টেবল। কোনো রিকশাচালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবে, কেউ উচ্চতায় কম হলে কমিয়ে নিতে পারবে। প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির কনটেইনার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে। এক লিটার কনটেইনার দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে হাফ লিটার কনটেইনার দিচ্ছি।
এ বিষয়টিও চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে করা হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলবে। পার্কগুলোতেও পানি স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি ব্যয়বহুল। আমি আহ্বান করছি, কেউ চাইলে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ ছাতা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। অনেক কোম্পানি অথবা ব্যক্তি এগিয়ে আসতে পারেন।
মেয়র আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এ ভ্যানগুলো ছোট আকারের করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসি মেয়র
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এই ঘোষণা দেন মেয়র।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনা খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমি নিশ্চিত করছি হতাহতরা সুচিকিৎসা পাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন।
এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সব বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশ কিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
১০ মাস আগে
দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যেসব দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্ম (স্ট্রিট আর্ট) বা গ্রাফিতি আঁকা করা হয়েছে, সেগুলোর উপর পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার অনেক কাজই করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সে কাজগুলো কিছুদিন পরেই পোস্টারের আড়ালে ঢেকে যায়। মহাখালীতে যে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে, তার ওপর আমি কোনো পোস্টার দেখতে চাই না। যে পোস্টার লাগাবে তাকে সবাই মিলে প্রত্যাখান করব। এত সুন্দর চিত্রকর্মে পোস্টার লাগালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। পোস্টার লাগিয়ে এই শহরকে নোংরা করার অধিকার কারো নেই। যারা পরিবেশ নষ্ট করে, তাদের ধিক্কার জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্ট পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির উদ্যোগে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে মহাখালী ফ্লাইওভারে স্ট্রিট আর্ট শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার মাস মার্চের মধ্যে পুরো মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট সম্পন্ন করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমরা এই শহরে কীভাবে সুস্থ থাকতে পারি সেই চেষ্টা করি। অনেকে দেখেছেন মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলো পোস্টারে ছেয়ে থাকত। আমরা সেখানে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছি। ঈদের সময় দেখলাম একজন বাবা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে সেই গ্রাফিতির সামনে ছবি তুলছে। এটাই আমাদের স্বার্থকতা।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, 'আমরা একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা চাই। বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ দেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের। নির্বাচন এলেই ঢাকা শহর পোস্টারে ঢেকে যায়। স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা কেন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন করতে পারছি না? নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই—নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার লাগানো যাবে না।'
তিনি বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিলেন লাল সবুজের পতাকা। তাঁরা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। আমরা পরাধীন থাকব না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানেই রাস্তায় ময়লা ফেলে দেওয়া না। স্বাধীনতা মানেই আইন ভঙ্গ করা না। স্বাধীনতা মানেই লাল লাইট জ্বলার পরেও গাড়ি চালানো না। দেশটাকে ও শহরটাকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।'
মহাখালী ফ্লাইওভারের স্ট্রিট আর্ট রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এতো কষ্ট করে, এতো খরচ করে নান্দনিকভাবে সাজানো হচ্ছে। এটি রক্ষা করতে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে, কাউন্সিলরদের এগিয়ে আসতে হবে।
বলেন, 'কাউলা এক্সপ্রেসওয়ের নিচের প্লে জোন শিগগিরই চালু করে দেওয়া হবে। মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে ফাকা জায়গায় টেবিল টেনিস বোর্ড এবং দাবা খেলার বোর্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নিজে রঙ তুলির মাধ্যমে আর্ট করে চিত্রশিল্পীদের উৎসাহিত করেন।
পরিদর্শনকালে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
১১ মাস আগে
বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ১ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, ‘বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতি বছর ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের ষষ্ঠ তলায় সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপির সহযোগিতায় ডিএনসিসি ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে ঢাকা উত্তরের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে কড়াইল বস্তি ও ভাসানটেক বস্তি পরিদর্শন করেছি। এই শহরের মেয়র হিসেবে আমি বলতে চাই পুনর্বাসন ব্যতীত কোনো বস্তি উচ্ছেদ হবে না। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে জলবায়ু উদ্বাস্তু অনেকে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন সেগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতেই এই পলিসি ডায়ালগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সমস্যার কথা জলবায়ু সম্মেলনে তুলে ধরব। আপনাদের বক্তব্য জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতা ও বিশ্বের মেয়রদের কাছে তুলে ধরব।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের কাছে যে বার্তা দিতে চাই, তা হলো আমাদের থাকার ব্যবস্থা, আমাদের শিক্ষার ব্যবস্থা, শুদ্ধ বায়ুর ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করা।’
মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার চেষ্টা করছে, বিভিন্ন এনজিও আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েকে আহ্বান করব তারা যেন এগিয়ে আসে। যাদের জন্য আজকের লবনাক্ত পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জনজীবন বিপন্ন, যাদের জন্য উত্তরবঙ্গে পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছে সেখানে জনজীবন বিপন্ন তাদের দ্বায়িত্ব নিতে হবে।’
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফোরামের কাছে প্রশ্ন রাখব, ঘূর্ণিঝড়ে, জলোচ্ছাসে, বন্যায়, খরায় কিংবা নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের দ্বায়িত্ব কে নেবে? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই দায়িত্ব উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুতই ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করব। আমি ইউএনডিপিকে (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) অনুরোধ করব এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য। এখন আমাদের তথ্য দরকার কতজন লবণাক্ততার জন্য আসছে, কতজন নদীভাঙনের জন্য এসেছে, কতজন বন্যা ও খরার জন্য এসেছে। তাদের এই তথ্যগুলো উন্নত বিশ্বের কাছে তুলে ধরব।’
তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে কীভাবে কড়াইল বস্তি, ভাসানটেক বস্তি, সাততলা বস্তির উন্নয়ন করা যায়। এখানে এই বস্তিবাসীরাও কিন্তু কেউ জায়গা নিয়ে আবার কেউ ভাড়া নিয়ে আছে, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন করতে হবে। যেখানে মাঠ থাকতে হবে, পার্ক থাকতে হবে, বিদ্যালয় থাকতে হবে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি সাততলা বস্তিতে ফেয়ার হাইড্রেন্ট বসিয়েছি। যাতে আগুন লাগলে তারার নিজেরা আগুন নিভাতে পারে। এইরকম ফেয়ার হাইড্রেন্ট সাততলা বস্তিতে আরও পাঁচটি দরকার, কড়াইল বস্তিতে ১০টি দরকার, ভাসানটেক বস্তিতে ১০টি দরকার। পর্যায়ক্রমে সেগুলো করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
১১ মাস আগে
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত তরুণরা এগিয়ে এলে এই দেশ বদলে যাবে, এই শহর বদলে যাবে। তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে আজও দাবায়ে রাখা যাবে না।'
দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় সরণি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্য আর্থ ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, 'ক্লাইমেট চেঞ্জ, কোভিড ও কনফ্লিক্ট তিনটি সি এর কারণে পুরো বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হচ্ছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহার হতো তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে যেত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকাশহ পুরো দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই এই ধরনের সামিটের মাধ্যমে ভয়েস রেইজ করতে হবে।'
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, 'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা গত দুই বছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এত নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কত জন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।'
শহরের সমস্যা সমাধানে যুবসমাজকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি চাই আমাদের যুবসমাজ প্রত্যেকে একেকজন মেয়রের ভূমিকা রাখবে। শহরের কোথাও সমস্যা দেখলে সিটি কর্পোরেশকে জানাও। আমাদের সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগ জানাও। কথা দিচ্ছি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবক মিলে মোহাম্মদপুরে খালের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছে। যুবকরা দেখিয়ে দিয়েছে খালে মাছ চাষ হবে, খাল দখলমুক্ত হবে। অসাধারণ উদ্যোগ। তরুণরা এভাবে এগিয়ে এস। তোমরা আমার সঙ্গে থাকলে এই শহরের সব খাল মাঠ অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'বনানীতে দুটি মাঠে ক্ষমতাবান বড়লোকরা চেয়েছিলেন তাদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং হবে। কিন্তু আমি সেটি হতে না দিয়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। কোনো মাঠ অবৈধভাবে দখলে থাকলে আমাকে জানাও যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দখলমুক্ত করব। গুলশান বারিধারায় ধনী লোকেরা বসবাস করে। তারা তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে খাল দূষণ করছে। আমরা অভিযান করে অনেকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্যের ব্যবস্থা না করলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। সবাইকে সচেতন হতে হবে, শহরকে ভালোবাসতে হবে।'
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, দ্য আর্থের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।
১ বছর আগে
ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচা বাজারের (কৃষি মার্কেট) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ ও মার্কেট পুননির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আসল কথা হলো কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, রায়েরবাজার মার্কেটসহ ডিএনসিসি`র সব মার্কেটে বৈধ দোকানদারের পাশাপাশি অনেক অবৈধ দোকানদার রয়েছে। অবৈধ দোকানদাররাই নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণ হোক এটা চান না।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমি ডিএনসিসি`র কর্মকর্তাদের ও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি অবৈধ দোকানদারদের তালিকা তৈরি করতে। অবৈধ দোকানদারদের তালিকা করে দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বৈধ দোকানদাররা কিন্তু নতুন ভবন নির্মাণে আপত্তি করবে না।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কাওরানবাজারসহ কয়েকটি মার্কেটের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক মার্কেটের দেয়াল খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যবসায়ীরা বলে দুর্ঘটনা ঘটে আমরা মারা যাবো তাও আমরা মার্কেট ছাড়বো না। এটা কোন কথা হলো না। তাহলে ক্রেতাদের ক্ষতি হলে সে দায় কে নেবে?
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নত স্মার্ট মার্কেট প্রয়োজন। এই ধরনের জরাজীর্ণ মার্কেট স্মার্ট বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আমরা চাই এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো ভেঙে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করে দেবো। নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণ মানে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানদারদের দোকান নিয়ে নেওয়া না, বরং সুন্দর দোকান পাবেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মার্কেটে অগ্নি নির্বাপক সিস্টেমসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতিকে আহ্বান করছি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে। কৃষি মার্কেটের কাজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। ডিএনসিসি`র কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি এটির কাজ যেন টেকসই হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় দুই বাড়ির মাঝখানে খালি জায়গায় যেখানে ময়লা ফেলা হতো সেটিকে বলা হতো মেথর প্যাসেজ। দুই বাড়ির মাঝখানে খালি জায়গা আমরা ঢালাই করে সুন্দর করে দিয়েছি৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মেথর প্যাসেজ নামটি পরিবর্তন করে এটির নাম দিয়েছি সার্ভিস প্যাসেজ। দয়া করে কেউ ময়লা ফেলে এটি নোংরা করবেন না।
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত মোট ৪১২ জন ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে অনুদান হিসেবে ডিএনসিসি থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র জাতিসংঘের স্থানীয়-আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত
উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
১ বছর আগে
ঢাকার যানজট সমস্যা নয়, চ্যালেঞ্জ: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ঢাকায় মানুষ আসছে। এদের নিয়ন্ত্রণ রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ, তাই দরকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: ৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসির বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দু’দিনের ট্রান্সপোর্টেশন সামিটের প্রথমদিন শেষে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য মেগা সিটির গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট উত্তরণের উপায় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী আগামীর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে, বাস রুটে র্যাশনালাইজেশনের মাধ্যমে সিটি বাস সার্ভিসকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।
মেয়র আতিক বলেন, পরবর্তী ধাপে ঢাকার রাস্তায় জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের স্টেশন কেন্দ্রিক করিডোর ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসিকে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যার ঘনত্ব। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে চার হাজার ৯০০। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রবেশ করছে। যা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর।
মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র সাত শতাংশ রাস্তা রয়েছে। যেখানে দরকার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ। ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ঘণ্টায় মাত্র ছয় কিলোমিটার, ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ৩৩ গুণ বেশি। আমি কিছু স্বল্পমেয়াদি এবং মধ্য মেয়াদি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঢাকার বাস রুট রেশনালাইজেশনে ২৪টি রুটে ২২টি কোম্পানির বাস পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে তিনটি রুট চলমান। শিগগিরই আরও দুইটি রুট চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বল্পমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় আরও রয়েছে স্কুল বাস চালু, অ্যাপভিত্তিক রাস্তায় কার পার্কিং ইত্যাদি। মিড টার্ম অ্যাকশনের মধ্যে আছে আইসিএম প্রোজেক্ট, ডেডিকেটেড বাস বে তৈরি।
এছাড়াও সম্মেলন থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য পথচারীবান্ধব ফুটপাত, প্রতিটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে