আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী জানান, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সুমি আক্তারকে তার স্বামী রুবেল মিয়ার (২৭) ঘরের মর্যাদা ফিরে দেয়া হয়েছে। এখন স্বামী বাড়িতে না থাকায় শ্বশুরের তত্ত্বাবধানে তিনি থাকবেন। আগামী এক মাস পর স্বামী তার সন্তানসহ সমস্ত ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেবেন।
বিবাহ নিবন্ধন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১১ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিলে তাদের কোলজুড়ে একটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়।
সুমি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ঘর-সংসার করার পর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আমার স্বামী রবেল আমার ও মেয়ের কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছিল না। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে সংসার শুরু করেন। স্বামী খোঁজ না নেয়ায় অভাব অনটনের কারণে নিরুপায় হয়ে স্বামীর কাছ থেকে অধিকার আদায় ও ভরণ পোষণের জন্য শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর ভিটায় তিন দিন ধরে অনশন করেছেন। পরে প্রশাসন ও ওসির সহযোগিতায় শুক্রবার অনশনের চতুর্থ দিনে তিনি স্বামীর বাড়িতে স্থান ফিরে পেয়েছেন।