ফেনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটম চালক জাফর আহাম্মদ হত্যা মামলায় ফেনী-৩ আসনের এমপি ও জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রহিম উল্লাহর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান জাফর আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রহিম উল্লাহসহ ৫ আসামির প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
বাদীপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জাফর হত্যা মামলায় রহিম উল্লাহ ও গ্রেপ্তার ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারীর পিএস মানিকসহ ৪ আসামির প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর রহিম উল্লাহকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন তাকে ফেনী সদর আমলি আদালতে আনা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট শহরের ট্রাংক রোডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটম চালক জাফর আহাম্মদ স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশ হয়। ওইদিন শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়াসহ আরও ১০ থেকে ১১ জন আসামি জাফরের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে স্ত্রী আছিয়া স্বামীকে সেদিন বাসায় আসতে নিষেধ করেন। জাফরও তার স্ত্রীর কথা মত সেদিন আর বাসায় যাননি। পরদিন ৪ আগস্ট জাফরকে ফেনী শহরের পুরাতন জেল রোডস্থ জেলা কারাগারের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর নিহত জাফরের স্ত্রী আছিয়া বেগম বাদী হয়ে ২০৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১০০ থেকে ১০৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় জাতীয় পার্টিও প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফেনী-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।