সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মঙ্গলবার সকালে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
ডিপোর বাইরে সকাল ৯টার দিকে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮তম ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এলাকাটি এখন বিপদমুক্ত।
তিনি বলেন, ডিপোতে এখন মূলত কাপড় ভর্তি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন নেভাতে ব্যবহৃত পানির কারণে এ ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এখানে এসেছে। এখানে বিপজ্জনক আর কিছু আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফাইনাল রিপোর্ট পাবো। সেখানে আমরা দেখবো আর কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এটুকু আমরা বলতে পারি প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এদিকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, দুপুর ১২টার দিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। এগুলো দুইজনের লাশ বলে ধারণা করছি। তবে আমরা এখনও নতুন লাশ হিসেবে মনে করছি না। কারণ এগুলো আগে উদ্ধার হওয়া লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হতে পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে বলবো।
তিনি বলেন,আমরা এখনও সতর্কতার সঙ্গে আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছি। কারণ অনেক কন্টেইনার এখনও জ্বলছে এবং আমরা নিশ্চিত নই যে কোনটিতে বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে।
সোমবার জেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা সংশোধিত করে পূর্বের নিশ্চিত হওয়া সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে ৪১ করেছে।
ব্রিগেডিয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক জেনারেল শামীম আহসান বলেন, আমরা ৪১টি লাশ পেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রবিবার ১৮ জনের ময়নাতদন্ত করেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী