কন্টেইনার ডিপো
চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত ভারটেক্স কন্টেইনার ডিপোতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানে দেখা যায়, দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ভারটেক্স কন্টেইনার ডিপোতে লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোল পাম্প চালানো এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না রেখে কন্টেইনার ইয়ার্ড পরিচালনা করে আসছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করছিল প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি ডিপোটিতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ছিল না ফায়ার সেফটি প্লান ও ফায়ার হাইড্রেন্ট। ২২ বছর ধরে ডিপো পরিচালনা করলেও ফায়ার সেফটি প্লান অনুমোদন বা বাস্তবায়ন এর কোন ব্যবস্থা নেননি ডিপো কর্তৃপক্ষ। এসব অভিযোগে ডিপোর সিনিয়র ম্যানেজার শেখ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন কে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের এ অভিযান চলাকালে বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসের টিমও উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ১০০ কেজি জাটকা জব্দ, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
১ বছর আগে
কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: সরকারের অবহেলাকে দুষল বিএনপি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য সরকারের অবহেলা ও অক্ষমতাকে দায়ী করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য সরকারের অবহেলা, সমন্বয়হীনতা ও অক্ষমতাই দায়ী বলে আমাদের বৈঠক মনে করে।’
সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এ বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার দলটির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সব জায়গায় দুর্নীতি, জবাবদিহির অভাব ও সরকারের অক্ষমতার কারণে এত মানুষ মারা গেছে এবং ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ও দুর্ঘটনা রোধে কিছু নিয়ম-কানুন এবং পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত, কেউ এগুলো পর্যবেক্ষণ করে না। যাদের দায়িত্ব সমন্বয় নিশ্চিত করা তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। এ কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।’
জনগণ ও সংসদের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহি না থাকায় সরকার সমর্থিত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে জবাবদিহি না করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘এই রাষ্ট্র কাজ করছে না এবং এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না। আমি প্রায়ই বলি যে এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কারণ রাষ্ট্র কাজ করছে না, মিশিনারি কাজ করছে না এবং তারা যা করছে তার জন্য কেউ দায়বদ্ধ নয়। এই জন্যই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ উদঘাটন ও এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর লাইসেন্স নবায়ন না করার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর মালিকদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা উচিত।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও জানান ফখরুল।
২ বছর আগে
তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: আইজিপি
চট্টগ্রামে কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে সিআইডিকে সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি সরকারিভাবে আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে। দুই কমিটিতে সিআইডি থেকে বিশেষজ্ঞ দেয়া হবে।
আইজিপি বলেন, সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা আহত হয়েছেন এবং ফায়ারম্যান ও পুলিশ উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছে। এরই মধ্যে তদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখনো এখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। অতএব স্থানটি এখনো নিরাপদ না। আশা করছি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্য, ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ।
পড়ুন: ৬০ ঘণ্টা পর কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে: সেনাবাহিনী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
২ বছর আগে
৬০ ঘণ্টা পর কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে: সেনাবাহিনী
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মঙ্গলবার সকালে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
ডিপোর বাইরে সকাল ৯টার দিকে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮তম ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এলাকাটি এখন বিপদমুক্ত।
তিনি বলেন, ডিপোতে এখন মূলত কাপড় ভর্তি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন নেভাতে ব্যবহৃত পানির কারণে এ ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এখানে এসেছে। এখানে বিপজ্জনক আর কিছু আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফাইনাল রিপোর্ট পাবো। সেখানে আমরা দেখবো আর কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। এটুকু আমরা বলতে পারি প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এদিকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, দুপুর ১২টার দিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। এগুলো দুইজনের লাশ বলে ধারণা করছি। তবে আমরা এখনও নতুন লাশ হিসেবে মনে করছি না। কারণ এগুলো আগে উদ্ধার হওয়া লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হতে পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে বলবো।
তিনি বলেন,আমরা এখনও সতর্কতার সঙ্গে আগুন পুরোপুরি নেভানোর চেষ্টা করছি। কারণ অনেক কন্টেইনার এখনও জ্বলছে এবং আমরা নিশ্চিত নই যে কোনটিতে বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে।
সোমবার জেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা সংশোধিত করে পূর্বের নিশ্চিত হওয়া সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে ৪১ করেছে।
ব্রিগেডিয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক জেনারেল শামীম আহসান বলেন, আমরা ৪১টি লাশ পেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রবিবার ১৮ জনের ময়নাতদন্ত করেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে যদি কারো অবহেলার কারণে ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যে অপরাধ করেছে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। আমরা কোন অপরাধকে দায়মুক্ত করিনি। তদন্ত হচ্ছে, আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
মন্ত্রী আজ সোমবার (৬ জুন) সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অপরাধকেই আমরা দায়মুক্ত বলি না। যে অপরাধ করছে, আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগুনের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর দোষীরা চিহ্নিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, অবহেলা বা দায় থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যত বড় শক্তি শালী হোক না কেন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ ঘটনায় কারও বিন্দুমাত্র অবহেলা বা দায় থাকলে অবশ্যই তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
এর আগে দুপুরে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত ও ২শতাধিক মানুষ আহত হয়।
পড়ুন: এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে চলছে ডিএনএ টেস্ট
২ বছর আগে
এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে সোমবার সকালে ডিপোর কন্টেইনারের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৫০ জনে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ‘জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ছয়টি টিম রেডি করেছি। ৮-১০ টি কনটেইনারে এখনও আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেভানো হবে। কেমিকেল আগুন নেভাতে দুটি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি) ২০ জনের টিম এসেছি ঢাকা থেকে।
সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বলতে না পারায় আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় লাগা এ আগুনে ডিপোতে থাকা বিভিন্ন কেমিকেল ভর্তি কন্টেইনার বিস্ফোরণ হয়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে।
স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ডিপোতে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কনটেইনার ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে এটি বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিক পক্ষ। গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালিকপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে। গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার প্রত্যেকেকে ছয় লাখ টাকা করে এবং বাকি আহতদের চার লাখ টাকা করে দেবে। বিএম ডিপোর জিএম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বেসরকারি একটি কন্টেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত আরও ১৩০ জনের মত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান ও চমেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রাসায়নিক পণ্যের কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কারখানাটির দুই শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে।
তারা হলেন-মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে