রবিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৬৯ জন যাত্রী নিয়ে ম্যানচেস্টারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে গেছে প্রথম ফ্লাইটটি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তার বিভিন্ন সেবা নিয়ে নতুন বছর শুরু করবে। এরমধ্যে বিমানের মোবাইল অ্যাপস অন্যতম। এই অ্যাপস ব্যবহার করে যাত্রীরা নিজের মোবাইল থেকে বিমানের টিকিট কিনতে পারবেন এবং মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন বিকাশ, রকেট অথবা অন্য যেকোনো কার্ডের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা ফ্লাইট সম্পর্কিত সকল তথ্যও জানতে পারবেন।
বিমান বহরে সদ্য সংযোজিত বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার দিয়েই ঢাকা-ম্যানচেস্টার রুটের যাত্রা শুরু হয়েছে। রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইটটি পরিচালিত হবে।
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে প্রায় ৯০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন। তাদের অনেকদিনের দাবি ছিল এই রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু করার। এটি বিমানের ১৭তম রুট। এর আগেও এই রুটে বিমানের ফ্লাইট পরিচালিত হলেও ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে উড়োজাহাজ স্বল্পতার কারণে অস্থায়ীভাবে রুটটি বন্ধ রাখা হয়।
নতুন বোয়িং ৭৮৭-৯ এ সর্বমোট আসন সংখ্যা ২৯৮টি। এই উড়োজাহাজে ৩০টি বিজনেস ক্লাস, ২১টি প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস রয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে রয়েছে ৬টি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১৮টি উড়োজাহাজ। প্রতিটি উড়োজাহাজে রয়েছে উন্নত যাত্রীসেবা সম্বলিত সকল সুযোগ-সুবিধা। যুক্তরাজ্যের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবং ইউরোপগামী বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসু, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা বিমান বহরের আধুনিক এ উড়োজাহাজগুলোতে ভ্রমণে আকৃষ্ট হবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের। প্রতিক্ষিত নিউইর্য়ক ও টরেন্টো রুটের হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে ম্যানচেস্টার রুটটি।
নতুন রুটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারসহ মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।