মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
তিনি জানান, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে রিট করায় আদালত রিট আবেদনটি সামারালি রিজেক্ট করেছে।
এর আগে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গত ১৯ বছর ধরে অপ্রত্যাশিতভাবে হাতি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ৪ আগস্ট রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী মনোজকুমার ভৌমিক জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষককে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে গত ২৩ আগস্ট দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বন বিভাগের তথ্যমতে চট্টগ্রাম ফরেস্ট সার্কেলে (কক্সবাজার,বান্দরবানের অংশ,চট্টগ্রাম শহর এবং রাঙ্গামাটি) গত ১৯ বছরে ১০৬টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনায় ৩২টি, অসুস্থ হয়ে ২৯টি, ২২টি বার্ধক্যজনিত জটিলতায়, বিদ্যুতায়িত হয়ে ১৫টি এবং ৮টি হাতি গুলিতে মারা যায়। তাই রিট আবেদনে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া ২২টি হাতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ৮৪টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নির্দেশনা চাওয়া হয়।