বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহীদ নামে একজন কলার ফোনের সূত্র ধরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শহীদ ফোন করে জানান, তিনি এমভি গ্রিন ওয়াটার-১০ লঞ্চের যাত্রী। লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে সদরঘাট থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। কিন্তু ঘণ্টাখানেক চলার পর মাঝ নদীতে লঞ্চটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বিকল অবস্থায় লঞ্চটি নদীতে ভাসছিল। এতে অনেক নারী ও শিশু যাত্রীও ছিলেন। অন্ধকারে মাঝ নদীতে বিকল লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। লঞ্চের স্টাফরাও যাত্রীদের রোষের ভয়ে আত্মগোপন করে ছিলেন।
কোন উপায় না দেখে শহীদ জরুরি নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। তার বর্ণনা অনুযায়ী লঞ্চটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয় বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বর এলাকায়।
জরুরি নম্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে সংবাদটি জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে ফাঁড়ির একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
পরে ফাঁড়ির এএসআই মাহবুব রাত পৌনে নয়টায় ৯৯৯ নম্বরকে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সদরঘাট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সোনার তরী নামে একটি লঞ্চ আনার এবং এতে করে সব যাত্রীকে ঘাটে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন।