এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনার রূপসা নদীতে থাকা একটি পর্যটন তরীকে হাসপাতাল (জীবন খেয়া) বানানোর জন্য শ্রমিকরা কাজ করছেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মাত্র ১৪ দিন আগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সাথে যৌথভাবে ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর ‘জীবন খেয়া’হতে যাচ্ছে সংগঠনটির আরও একটি মাইলফলক, যা সর্বদা মানবতার সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সৃজনশীল একটি ধারণা।
বুধবার বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক সালমান খান বলেন, রূপসা নদীতে থাকা ২১টি কেবিন বিশিষ্ট নৌকাকে হাসপাতাল বানানোর জন্য সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কোস্টগার্ডের সহায়তায় ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটি তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘উপকূলের নদীর তীরে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে পরিষেবা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটির রুট প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে এবং এজেন্সি নৌকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ‘চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াও অন্তত আটজন সাপোর্ট স্টাফ সেখানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য জাহাজে থাকবে।’
এক বিবৃতিতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাশ বলেন, তারা উপকূলীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভাসমান হাসপাতাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে বাঁচার সামর্থ্য নেই।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল বর্ষার বন্যা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই মানুষকে বাঁচতে হয়। মানুষ হত্যা, মানুষের জীবিকা নির্বাহ এবং তাদের ফসল এবং সকল কিছু ধ্বংস করে তাদেরকে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছে। অনেকে জলবায়ু শরণার্থী হন। অধিকন্তু, রোগগুলো তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে।’
কিশোর বলেন, তারা এই ভাসমান হাসপাতালটি চালু করে কিছুটা হলেও এ জাতীয় লোকদের দুর্ভোগ লাঘব করতে চান। ‘আমরা সব সময়ে চেষ্টা করেছি জনগণের এমন সেবায় কিছু উদাহরণ তৈরি করতে, যাদের কঠিন সময়ে সহায়তার প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্য সেবায় সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, অন্যরাও এগিয়ে এসেছে, তবে আমরা সব সময় আরও অর্থবহ এবং সৃজনশীল উপায়ে এগিয়ে আসতে চাই। আমরা শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করছি। জীবন খেয়া এ জাতীয় আরেকটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
তিনি হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য জনগণের সহায়তা চান।