বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে রবিবার ঢাকায় দুই দিনব্যাপী বিশ্ব শান্তি সম্মেলন শেষ হয়েছে।
সম্মেলনে একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজের মূল স্তম্ভ হিসাবে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেযো হয়।
এছাড়া জনগণের ন্যায্য দাবি ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি আওয়াজ তোলার ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাকে মূল্যায়ন করা হয়।
৪-৫ ডিসেম্বর ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণায়’ বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে সরকার, আইনসভা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপনিবেশবাদ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং যে কোনো অজুহাতে অননুমোদিত ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এতে বলা হয়, `আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সংঘাত প্রতিরোধ ও শেষ করতে মধ্যস্থতার ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেই।’
তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কর্মীদের উৎসর্গ ও সেবার জন্য প্রশংসা করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নারী ও যুবকদের কর্মসংস্থানের অধিকার রক্ষা সংস্থার প্রতি বিশ্বাস বজায় রাখেন।
অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সম্মেলনের আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, ‘আমরা স্মরণ করি যে গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের যাত্রা শান্তি বজায় রাখার, টেকসই উন্নয়নের প্রচার এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পথ হিসাবে জনগণের মুক্তি ও ক্ষমতায়নের একটি বৈধতা।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর