বারবার সতর্ক করার পরেও যদি কোনো নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে সেখানকার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে’ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, প্রথমবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা পরিষ্কার করে দিয়ে আসা হবে। দ্বিতীয়বারও একই অবস্থা হলে জরিমানা করা হবে। এরপরেও তারা যদি পরিষ্কার না করে এবং বারবার এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডেডিকেট হাসপাতাল করা যায় কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের যে হাসপাতাল রয়েছে, সেটি নতুন করে খুলে দিতে বলেছি। সেখানে ৮০০-৯০০ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। গতবারও যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল, তখন সেটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি, অর্ধশতাধিক রোগী হয়নি।
ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে এই মাসেই ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ব্যর্থতার কথা বললে তুলনামূলকভাবে বলতে হবে। যেমন একজন মানুষ কতটুকু জ্ঞানী, তা আরেকজন মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে। তবে আমি সফলতার দাবি করি না। সফলতার দাবি তখনই করব, যখন একজন মানুষও আক্রান্ত না হবেন, একজনেরও মৃত্যু না হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে স্মার্ট সিটি করতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ডিএসসিসি: তাজুল
আর ব্যর্থতার তো কারণ নেই। ব্যর্থ হলে তো এখন দেশে ২০-৩০ লাখ রোগী হয়ে যেতেন। আমরা সবাই কাজ করছি। এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভারতের চেয়েও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ২৪ হাজার সংক্রমণ হয়েছে। উপমহাদেশে মশা বেড়েছে চলতি জুলাই মাসে। তিনি বলেন, জুন মাসে মালয়েশিয়ায় ছিল ৪৬ হাজার। আমি তাহলে কী করে আমাদের লোকজনকে ব্যর্থ বলব।
বৈঠকে মন্ত্রী আরও বলেন, জব্দ করা যানবাহনসহ বিভিন্ন ধরনের টায়ার-টিউবে স্প্রে করার ব্যবস্থা করতে হবে। এরই মধ্যে স্কুলগুলোতে সভা করা হয়েছে। সভা করা হয়েছে। স্কুলের আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যব্যস্থা নিতে হবে।
সব সরকারি অফিসে আজকে চিঠি দেন। এই মিটিং রেফারেন্সে। সরকারি অফিসগুলোকেও জরিমানা করা হবে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নেরন জবাবে তিনি বলেন, দুর্যোগ তখনই ঘোষণা করা হবে, যখন মনে করব, আমরা আর পারছি না। আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি না বা কাজ করার মতো যোগ্যতা আমাদের নেই, বিষয়টা তো এমন নয়। জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা তখনই করা হবে, যখন দেশে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটে যাবে। যেমন, ৫০ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে গেছে কিংবা ৫০ লাখ লোক মারা গেছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম