লার্ভা
ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান: লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার প্রকোপ কমাতে নগরীর ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (৮ জুলাই) বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ বাড়িওয়ালার এই জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: সাদিক এগ্রো খামারের একাংশ উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
উত্তরায় অভিযান চালিয়ে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন অভিযান পরিচালনা করেন। তেজগাঁওয়ে দুইটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুই বাড়িওয়ালাকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর শাহ আলীবাগ এলাকায় মশা নিধন অভিযান পরিচালনার সময় দুইটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোহাম্মদপুর এলাকায় মশা নিধন অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন বাড়িওয়ালাকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হয়।
আরও পড়ুন: যেসব তরুণ মাদককে না বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট: ডিএনসিসি মেয়র
ছাদ কৃষির প্রদর্শনী করবে ডিএনসিসি
৪ মাস আগে
মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক
চলমান মশা নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিটিআই কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিএনসিসির অঞ্চল ৩-এর আওতাধীন গুলশান-২ এর ৪৭ নম্বর সড়ক এলাকায় প্রথমবারের মতো এই কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আজ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত ৪০ বছর ধরে আমরা টেমিফস্ট (কীটনাশক) ব্যবহার করতাম মশা নিধনে। কিন্তু, আমরা দেখেছি অন্যান্য উন্নত বিশ্বে ব্যবহার হচ্ছে বিটিআই কীটনাশক।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন শহরে এটি ব্যবহার করছে, সিঙ্গাপুরে ব্যবহার করছে, মায়ামি সিটিসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এই বিটিআই ব্যবহার করছে। বিভিন্ন দেশে দেখার পরে আমরা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে এটা নিয়ে এসেছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি অনেকগুলো প্রটোকল মেইনটেইন করে একটি কীটনাশক আনতে হয়। আমরা সব প্রটোকল মেইনটেইন করে সিঙ্গাপুর থেকে লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বিটিআই এনেছি। আশা করি এটি ব্যবহারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।'
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'বিটিআই পরিবেশ রক্ষা করে। অর্থাৎ, এটি যখন আমরা ব্যবহার করছি, এখানে মাছের কোনো ক্ষতি হবে না, জলজ প্রাণীর ক্ষতি হবে না। এতে লাভটা কী হচ্ছে? লেকে যে মাছগুলো আছে, এগুলোর কোনো ক্ষতি হবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ক্ষতিকর লার্ভা ধ্বংস করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতে ড্রেনে গাপ্পি মাছ ছাড়তাম। কিন্তু, এই মাছগুলোকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম না। এখন লার্ভাটা মরবে, গাপ্পি মাছগুলা থাকবে। এ ছাড়া গাপ্পি মাছগুলো আবার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। এর ফলে, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা হবে।'
মেয়র জানান, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের পুরো টিমকে আগামী পাঁচ দিন ট্রেনিং করে কীভাবে এটি প্রয়োগ করতে হয়, সেটি শেখানো হবে।
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'এই বিটিআই ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি একটি এলাকায় একবার প্রয়োগ করলে ১০ দিনের মধ্যে সেখানে আর স্প্রে করতে হবে না। এতে আমাদের যে জনবল আছে, আমি আরও অনেক বেশি এরিয়া কাভার করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আগে সপ্তাহে দু’বার টেমিফস্ট ব্যবহার করা হতো। অতএব বিটিআই ব্যবহার করে অনেক জায়গা কাভার করতে পারব। তবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আবার সাত দিন পরপর করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রতিটি অঞ্চলের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ডগুলোর মশা নিধন কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরে এটি প্রয়োগ করবেন। আজ ৩, ৯, ১০ এই তিনটি অঞ্চলের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন। পাঁচ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব অঞ্চলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'পুরো প্রয়োগ প্রক্রিয়াটি আমরা কঠোর মনিটরিং এর মধ্যে রাখব। সঠিক পরিমাণে বিটিআই মিশ্রণ হয়েছে কি না, সঠিক পরিমাণ জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে কি না এগুলো মনিটরিং করা হবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'আমরা প্রথম ধাপে পাঁচ টন বিটিআই এনেছি। এতে তিন মাস চলবে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ভবনের বেজমেন্টে প্রায় ৪৩ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই বেজমেন্টেও বিটিআই প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছি। তবে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিকভাবে যদি এটি বাজারজাত করে ওভার দ্য কাউন্টারে বিক্রির ব্যবস্থা করে, তাহলে সবাই নিজেদের বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান, উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, সিঙ্গাপুর থেকে আগত বিটিআই কীটনাশক বিশেষজ্ঞ লি শিয়াং, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, অঞ্চল-০৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন নতুন এলাকার সড়ক নির্মাণকাজ শেষ: আতিক
৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: মেয়র আতিক
১ বছর আগে
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় র্যাব-৩ এর সদর দপ্তরের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মজিদ অ্যাণ্ড সন্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ এ জরিমানা করেন।
এছাড়াও আজ করপোরেশনের আওতাধীন ইস্কাটন গার্ডেন, বাসাবো, নাজিমউদ্দিন রোড, আলু বাজার, গোপীবাগ, গ্রিন মডেল টাউন, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং ও কোনাপাড়া এলাকায় আরও ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এদিকে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো করপোরেশনের আওতাধীন ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজকের অভিযানে এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জরুল হক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ ছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিমউদ্দীন রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১টি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুবাজার এলাকায় ৪৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায় এবং ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবাগ এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন এবং আমিন মো. হাউজিং এর ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৯৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘নির্মাণাধীন ভবেন বার বার লার্ভা পেলে ভবনের কাজ বন্ধ করা হবে’
১ বছর আগে
‘নির্মাণাধীন ভবেন বার বার লার্ভা পেলে ভবনের কাজ বন্ধ করা হবে’
বারবার সতর্ক করার পরেও যদি কোনো নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে সেখানকার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে’ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, প্রথমবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা পরিষ্কার করে দিয়ে আসা হবে। দ্বিতীয়বারও একই অবস্থা হলে জরিমানা করা হবে। এরপরেও তারা যদি পরিষ্কার না করে এবং বারবার এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডেডিকেট হাসপাতাল করা যায় কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের যে হাসপাতাল রয়েছে, সেটি নতুন করে খুলে দিতে বলেছি। সেখানে ৮০০-৯০০ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। গতবারও যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল, তখন সেটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি, অর্ধশতাধিক রোগী হয়নি।
ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে এই মাসেই ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, ব্যর্থতার কথা বললে তুলনামূলকভাবে বলতে হবে। যেমন একজন মানুষ কতটুকু জ্ঞানী, তা আরেকজন মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যাবে। তবে আমি সফলতার দাবি করি না। সফলতার দাবি তখনই করব, যখন একজন মানুষও আক্রান্ত না হবেন, একজনেরও মৃত্যু না হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে স্মার্ট সিটি করতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ডিএসসিসি: তাজুল
আর ব্যর্থতার তো কারণ নেই। ব্যর্থ হলে তো এখন দেশে ২০-৩০ লাখ রোগী হয়ে যেতেন। আমরা সবাই কাজ করছি। এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভারতের চেয়েও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ২৪ হাজার সংক্রমণ হয়েছে। উপমহাদেশে মশা বেড়েছে চলতি জুলাই মাসে। তিনি বলেন, জুন মাসে মালয়েশিয়ায় ছিল ৪৬ হাজার। আমি তাহলে কী করে আমাদের লোকজনকে ব্যর্থ বলব।
বৈঠকে মন্ত্রী আরও বলেন, জব্দ করা যানবাহনসহ বিভিন্ন ধরনের টায়ার-টিউবে স্প্রে করার ব্যবস্থা করতে হবে। এরই মধ্যে স্কুলগুলোতে সভা করা হয়েছে। সভা করা হয়েছে। স্কুলের আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যব্যস্থা নিতে হবে।সব সরকারি অফিসে আজকে চিঠি দেন। এই মিটিং রেফারেন্সে। সরকারি অফিসগুলোকেও জরিমানা করা হবে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে কি না- এমন প্রশ্নেরন জবাবে তিনি বলেন, দুর্যোগ তখনই ঘোষণা করা হবে, যখন মনে করব, আমরা আর পারছি না। আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি না বা কাজ করার মতো যোগ্যতা আমাদের নেই, বিষয়টা তো এমন নয়। জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা তখনই করা হবে, যখন দেশে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটে যাবে। যেমন, ৫০ লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছে গেছে কিংবা ৫০ লাখ লোক মারা গেছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম নগরীর ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত: চবি
চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্থানের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল।
গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ পরিচালনা করে চবির গবেষক দলটি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ না করলেও রবিবার রাতে গবেষক দলের আহবায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি চসিককে হস্তান্তর করা হবে। এটি হাতে পেলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরালো হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩৭ রোগী হাসপাতালে
গবেষক দল বলছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে ৫৭টি স্পট থেকে গত জুলাই মাসে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এতে পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, নগরীতে মশার উপদ্রব বাড়ায় সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জরিপ চালিয়ে গবেষক দল মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। লার্ভাগুলো লালন-পালনের পর জন্ম নেওয়া মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে ১৫টি স্পটের নমুনায় শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
এদিকে এ বছর চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। এরই মধ্যে এ রোগে চট্টগ্রামে দুজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে একদিনে আরও ২৩১ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪, ৮৪৪
গবেষক দলের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন এবং অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অনুরোধ করা হয়। এরপর তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন উপাচার্য।
তিনি জানান, অনেকগুলো লার্ভা লালন-পালন করে এখন মশা হয়ে গেছে। মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা দেখা হচ্ছে। কোন ওষুধ মশা মারার জন্য কার্যকর তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। এছাড়া, কোন ওষুধ কি পরিমাণে দিতে হবে, কীভাবে ওষুধ প্রয়োগ করলে মশা নিধন সহজ হবে তা উল্লেখ করা হবে প্রতিবেদনে।
এর আগে নগরীতে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চসিক। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দু’জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘মশার ওপর আমাদের যে সার্ভে হয়েছে তাতেও এডিস মিলেছে। এটা আমরা সিটি করপোরেশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও ওষুধ ছিটানো জোরালো করতে বলেছি। এছাড়া নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করতে বলেছি, আমরাও মাইকিং করছি। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে।’
চসিক সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিন চার থেকে ছয়টি ওয়ার্ডে বিশেষ টিম মশক নিধনে কাজ করবে। যে ওয়ার্ডে যেদিন অভিযান চালানো হবে সেই ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা স্থানে মশক নিধনের অভিযান চলবে।
৩ বছর আগে
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিন।’
বুধবার সকালে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত ঢাকা ম্যাচ কলোনির জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এ আহবান জানান।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপসমেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারিনা। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, ছাদে কোথাও পানি জমে আছে। আপনি যদি নিজে পরিষ্কার না করতে পারেন আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেবো। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন কোন প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে আছে আপনারা যদি তাদের দিয়ে পরিষ্কার না করাতে পারেন তাহলে আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলরসহ উপস্থিত হবো। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হবে। আমরা করে দেবো। শুধু আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য দিয়ে লাভ নেই। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন। ‘
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩শেখ তাপস আরও বলেন, ‘এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসাবাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোন পাত্রে হয় - অর্থাৎ যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই কিন্তু এডিস মশার প্রজনন হয়ে থাকে। আপনাদের মেয়র হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিন।’ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন যে ঢাকা শহরের যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি আমাদের কীটনাশক আছে আমাদের জনবল আছে, আমাদের যন্ত্রপাতি আছে, আমাদের সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সবমিলিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।’
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩
পরে শেখ তাপস নগরীর ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর ডিএসসিসি মেয়র ডিএসসিসি পরিচালিত ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুরাতন ঢাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন করব। সে লক্ষ্যেই আজকের পরিদর্শন।’
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুলএ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানে জরিমানা ২৩ লাখ টাকা
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) পরিচালিত বিশেষ চিরুনি অভিযান শেষ হয়েছে।
৪ বছর আগে
এডিস মশার লার্ভা: ডিএনসিসির অভিযানে ১৯ মামলা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শুক্রবার বিভিন্ন বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ মামলায় মোট তিন লাখ সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৪ বছর আগে