পূর্ববর্তী বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে ভাইরাসটি ব্যাংক নোট ও কাচে দুই থেকে তিন দিন এবং প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলে ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, যদিও ফলাফলগুলোর মানে ভিন্নতা ছিল।
ভাইরোলজি জার্নালে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা সিএসআইআরওর সর্বশেষ অনুসন্ধান অনুযায়ী, ভাইরাসটি কিছু পৃষ্ঠে ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে ১০ দিন বেশি সময় ধরে পাওয়া গেছে, খবর গার্ডিয়ান।
গবেষণাটি অন্ধকারে পরিচালনা করা হয়েছিল। ইউভি আলোতে ভাইরাসটি যে মারা যায় তা আগেই দেখা গেছে।
এদিকে, বাস্তব জীবনে পৃষ্ঠতল থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে এমন হুমকির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।
করোনাভাইরাস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমিত হয় মানুষের কাশি, হাঁচি বা কথা বলার মাধ্যমে।
সিএসআইআরওর চিফ এক্সিকিউটিভ ড. ল্যারি মার্শাল বলেন, ভাইরাসটি কতক্ষণ পৃষ্ঠতলে বেঁচে থাকে তা জানার ফলে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে আরও সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে এবং এর বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হবে।
এসিডিপির উপপরিচালক ড. ডেবি ঈগলস বলেন, গবেষণার ফলাফলগুলো নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলা এবং পৃষ্ঠগুলো পরিষ্কার রাখার মতো ভালো অভ্যাসগুলোর প্রয়োজনকে আরও দৃঢ করে তোলে।
তিনি বলেন, ’২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রায় ঘরের তাপমাত্রার সমান, সেখানে ভাইরাসটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তা মোবাইল ফোনের পর্দার কাঁচের মতো মসৃণ পৃষ্ঠগুলোতে ২৮ দিন বেঁচে ছিল।’
ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে একই ধরনের পরীক্ষায় পাওয়া গেছে যে এটি ১৭ দিনের মতো পৃষ্ঠের ওপরে টিকে ছিল।
এরপর ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরীক্ষায় দেখা যায়, তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বেঁচে থাকার সময় হ্রাস পায়।