শনিবার পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি ছিটমহলের মফিজার রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, ‘দীর্ঘ ৬৮ বছর পিছিয়ে থাকা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার মুজিব বর্ষে উপহার দেয়া হলো।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রকল্প দেন সে পথে তার সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ইতোমধ্যে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আইসিটি সেক্টরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থান পেয়েছে। ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। সেই সাথে প্রায় ২ লাখ সফটওয়্যার টেকনোলজিতে কাজ করছে। লক্ষাধিক ছেলে-মেয়ে কল সার্ভিসে কাজ করছে। ৫০ হাজারেরও বেশি ছেলে-মেয়ে ই-কমার্সে কাজ করছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ৩ বছরে বাংলাদেশে ১১টি মেনুফ্যাকচারিং এবং এসেম্বলিং প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে।
পলক বলেন, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের মাধ্যমে মুজিব বর্ষে ৪০ হাজার শিক্ষিত বেকারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, যেন তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসেই নিজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।
যুবকদের এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে তিনটি বাধার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাধাগুলো হচ্ছে মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি। এগুলো অতিক্রম করে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
এ সময় তিনি প্রযুক্তির ভালো দিক ব্যবহার করে তরুণদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।